করোনায় দীর্ঘদিন ঘরবন্দি থাকতে হয়েছে মানুষকে। এ সময় যোগাযোগ, বিনোদন, শিক্ষা কিংবা অফিসের কাজে প্রধান মাধ্যম হয়ে ওঠে ইন্টারনেট। ফলে মোবাইলের পাশাপাশি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ডাটার ব্যবহার বাড়ে ২৫ শতাংশের মতো। তবে ব্রডব্যান্ডের গতি নিয়ে রয়েছে অসন্তোষ।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বের ২২১টি দেশের মধ্যে ব্রডব্যান্ড সংযোগের গতিতে বাংলাদেশের অবস্থান ১৮৪তম। প্রায় ৫০ হাজার একক আইপির ব্রডব্যান্ড সংযোগ, চার লাখেরও বেশিবার পরীক্ষা করে গড় গতি পাওয়া গেছে মিনিটে মাত্র ৩ দশমিক ২ মেগাবাইট। এ গতিতে ৫ গিগাবাইটের একটি ফাইল ডাইনলোড হতে সময় লাগে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা, যা এশিয়ার বিদ্যমান গড় গতির চেয়ে প্রায় ছয়গুন। আর বৈশ্বিক গড়ের চেয়ে সাড়ে সাতগুন ধীর। গবেষণায় বাংলাদেশের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট গতি দক্ষিণ এশিয়ায় খারাপ অবস্থানের দিক থেকে তৃতীয়।
সেবাদাতারা বলছেন, বেশি খরচ আর অসুস্থ প্রতিযোগিতার কারণেই সৃষ্টি এমন পরিস্থিতির।
ব্যবসায়ী-ভোক্তা উভয়ের স্বার্থ রক্ষায় সীমিত জনবল নিয়ে ব্রডব্যান্ডের গতি সন্তোষজনক রাখতে কাজ করার দাবি বিটিআরসি'র। দেশের ইন্টারনেট সেবা নিয়ে আন্তর্জাতিক গবেষণা ফল প্রশ্নাতীত নয় বলে মনে করে বিটিআরসি।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও লিংকে: