বেট থ্রিসিক্সটি ফাইভ, বেটওয়ে, স্পোর্ট রাডার, বেট কিং এমন হাজারো ওয়েবসাইট আছে অন্তর্জালের দুনিয়ায়। আর হাজারো কৌশল খেলা নিয়ে বাজি ধরার। অনেক দেশেই বৈধতা থাকলেও বাংলাদেশে যা অবৈধ।
তারপরও নানা উপায়ে অনেকেই বাজি ধরেন। সাম্প্রতিক কয়েক বছরে বাংলাদেশের বিভিন্ন লিগও এসব ওয়েসবসাইটে জায়গা পেয়েছে। শুধু ওয়েবসাইটই না, অ্যাপস থেকে শুরু করে গোপন নানা কৌশল আছে বাজির দুনিয়ায়।
কেউ যদি আগে থেকেই জানতে পারেন খেলার ফল কি হবে, বাজির ভাগ্যে তার জয়ী হবার সম্ভাবনা শতভাগ। তাই বাজিকরদের চেষ্টা থাকে কারসাজি করার।
আর এখনতো বাজির দুনিয়ায় নতুন টার্ম স্পট ফিক্সিং। বাংলাদেশের ফুটবলে এবারই প্রথম এসেছে এমন খবর। এর আগ দুই ক্লাবের পাতানো খেলার অভিযোগ, প্রমান, শাস্তি সবই হয়েছিলো।
এত আলোচনা আরামবাগ ও ব্রাদার্সকে ঘিরে। এএফসি তাদের চিঠিতে বলেছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের সন্দেহজনক পাঁচ ম্যাচের সবকটিতে অত্যধিক বাজি হয়েছে। যার সবগুলোর সাথে মিলে গেছে ম্যাচের ফল। এমনকি প্রথমার্ধে কয় গোলে কোন দল এগিয়ে থাকবে তাও।থ্রো, কর্ণার, ফাউল, কার্ড সংখ্যা নিয়েও হতো বাজি। কিভাবে হতো সেই বাজি? আরামবাগের ফুটবলারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ম্যাচের আগেরদিন আসতো নির্দেশনা।
আর এই কাজটি করতেন মিনহাজুল ইসলাম মিনহাজ। ক্লাবের নির্দিষ্ট কোনো পদে তিনি নেই। শুধু স্পন্সর এনে দেয়ার প্রতিশ্রুতিতে সম্পৃক্ত হয়েছিলেন বসুন্ধরার সাথে সম্পর্ক ছেড়ে।
অভিযুক্ত মিনহাজ হাজির চ্যানেল টোয়েন্টি ফোরের ক্যামেরার সামনে। নিজেকে নির্দোষ দাবি তার। ব্রাদার্সও বলছে তারা জড়িত নয় এমন কর্মকান্ডে। উল্টো বাফুফের কাছে চেয়েছে এমন অভিযোগের প্রমান।
এখন পর্যন্ত আরামবাগ যে নয়টি ম্যাচ খেলেছে তার সাতটিতে চাপ প্রয়োগের অভিযোগ দিয়েছেন ফুটবলাররা।