৯৯ থেকে ২০১৯ বিশ্বকাপ। ক্যারিবিয়দের সাথে টাইগারদের মাঠের লড়াইয়ের শুরুর মতো শেষের ম্যাচ রেজাল্টেও দারুণ মিল। ৭ উইকেটের জয়। শুধু বদলেছে বিজয়ীর নাম। প্রথম দেখায় ক্যাসল এভিনিউর হারের তিক্ত অভিজ্ঞতা কুপার অ্যাসোসিয়েটস কাউন্টি গ্রাউন্ডে শেষ বারের মোকাবেলায় গড়ায় গন্ডায় বুঝিয়ে দিয়েছিলো বাংলাদেশ।
মাঝের গল্পটা শ্রেষ্ঠত্ব হারানো আর অর্জনের। পরিসংখ্যানে প্রথম দশক ওয়েস্ট ইন্ডিজের হলে শেষভাগ বাংলাদেশের। যদিও ক্যরিবিয়দের ২১ জয় এখনও ছাপিয়ে যেতে পারেনি টাইগাররা। ঘরের মাটিতে টানা তৃতীয় বার শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখতে পারলে অতিথিদের সাথে সিরিজ জয়ে সমানে সমানে হওয়ার সুযোগ টিম বাংলাদেশের।
ঘরে কিংবা বাইরে, সাম্প্রতিক সময়ে ওয়ালশ-অ্যামব্রোস-লারাদের উত্তরসূরিদের হারাতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি তামিম-সাকিবদের বাংলাদেশকে। টাইগারদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অর্জনেও জড়িয়ে ক্যারিবিয়রা। আয়ারল্যান্ডের তৃতীয়দেশীয় সিরিজে এই দলটাকে হারিয়েই প্রথম কোন শিরোপা হাতে তুলেছিলো লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।
ঘরের মাটিতে শেষ ৫ ম্যাচে শতভাগ জয়ের স্বস্তি যেমন আছে, তেমনি আছে ৫৮ রানের অস্বস্তিও। ঢাকার মাঠেই ওয়ানডেতে টাইগারদের সবচেয়ে কম রানে অলআউট লজ্জায় ফেলেছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যদিও ক্যারিবিয়দের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানে গুটিয়ে দিয়ে কয়েক বছর পর চট্টগ্রামে তার প্রতিশোধ নিয়েছিলো স্বাগতিকরা।
এবারের সিরিজে মাশরাফী না থাকায় নড়াইল এক্সপ্রেসকে ছাড়িয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারীর তালিকায় আরও এগিয়ে যাওয়ার হাতছানি কেমার রোচের। দুদলের দৈরথে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকেও টাইগারদের আধিপত্য। যদিও, এবার তামিম-মুশি-সাকিবদের সাথে তোলার চ্যালেঞ্জে দেখা যাবেনা শেই হোপ-ক্রিস গেইলদের।
ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচসেরা সেঞ্চুরি ইনিংস খেলেছিলেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশ অলরাউন্ডের ব্যাট বলে মিতালি ফিরিয়ে আনতে দারুণ মঞ্চ হতে পারে এবারের ক্যরিবিয় সিরিজ।
/p>