বড়জোড় প্রতিভাবান আর প্রতিশ্রুতিশীলদের মেলা, তাই পরিষ্কার ফেভারিট ট্যাগলাইন মেলেনি গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের। কিন্তু তিন ম্যাচ শেষে তারাই কিনা সবাইকে ছাড়িয়ে। টুর্নামেন্টের একমাত্র অপরাজেয় দল।
আগের দুই ম্যাচে একপেশে জয়ের তূলনায় এদিন কিছুটা কঠিন পরীক্ষায় পড়েছিলো চট্টগ্রাম। তবে দুই বাহাতি পেসার মোস্তাফিজুর রহমান আর শরীফুল ইসলামই শেষ করেছে বরিশালকে। শেষ, ৫ ওভারে দরকার ছিলো ৫০। ডেথ ওভারে দুজনে দিলেন ৩৯ রান। ম্যাচে দুই পেসার ভাগ বাটোয়ারা করেছেন তিনটি করে উইকেট। আসরের সবচেয়ে সফল বোলার ফিজের নয় উইকেট শরীফুলের ৫।
অনভিজ্ঞ মিডলঅর্ডারের ধ্বসে পড়া ঠ্যাকাতে পারেনি আফিফের ২৪। শেষদিকে মাহিদুল কিংবা সুমন খানের ক্যামিও। নড়বড়ে শুরুর ক্ষতি পূরণে প্রয়োজন ছিলো, তামিম ইকবালের ৩২ রানের ইনিংসটির একটু লম্বা স্থায়িত্ব। শেষ পর্যন্ত তাই ১৫২র লক্ষ্যও অধরা। এক ম্যাচে জয় তো পরের ম্যাচে হার এই ধারাবাহিকতায়ই চলছে বরিশাল।
এদিনই প্রথম আগে ব্যাট করেছিলো চট্টগ্রাম। টপঅর্ডারে ধারাবাহিক লিটন দাসের ৩৫ রান ছাড়া সৌম্য সরকার আর অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন ক্ষনিকের অতিথি।
ইনজুরিতে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়া মুমিনুলের ঘাটতি বুঝতে দেয়নি মিডল অর্ডার। মোসাদ্দেকের ২৮, সৈকত আলীর ২৭ ও সামশুর রহমানের ২৬ রান অন্তত লড়ার মত পুঁজি দিয়েছে চট্গ্রামকে।
শুরুর সাফল্যের বিচারে, নিশ্চিতভাবেই টুর্নামেন্টের টিম টু ওয়াচ গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম।