চাঁদের কলঙ্ক আছে, আছে মারাদোনারও।
যার হাতে উঠেছিলো বিশ্বকাপ ট্রফি, সেই তার গায়েই লেপ্টে ছিলো নেশার কালিমা।
খেলোয়াড়ি জীবনে বিতর্কের দীর্ঘ তালিকায় সবার উপরেই ড্রাগস। থাকবে আজীবন। ১৯৯১ এ নাপোলিতে কোকেন নেয়ার দায়ে ১৫ মাস নিষিদ্ধ হোন মারাদোনা। তবে সেবারই শেষ নয়। নিষিধাজ্ঞা চলাকালীন বুয়েন্স আইরেসে এসে নিজ দেশেই কোকেনসহ আটক মারাদোনা। আর ৯৪ বিশ্বকাপে ডোপ টেস্টে পজিটিভ হয়ে দু ম্যাচ খেলেই আর্জেন্টিনায় ফিরতে হয়েছিলো ৮৬ বিশ্বকাপজয়ী মহানায়ককে।
নেশার জগত ছাড়তে এক সময় কিউবায় পুনর্বাসনেও থাকতে হয়েছিলো মারাদোনাকে। সেই তিনিই আবার ২০১০ সালে অতিরিক্ত কোকেন নিয়ে দুদিন আইসিতে কাটিয়ে এসেছিলেন। আর জীবনের শেষদিকে পেয়ে বসেছিলো অতিরিক্ত মদের নেশা।
মাদকের চেয়ে কম নয়, মারাদোনার হ্যান্ড অব গড বিতর্কও। ৮৬ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হাত দিয়ে গোল করে দলকে নিয়ে গিয়েছিলেন সেমি ফাইনালে। যদিও তা পরে স্বীকার করেছিলেন তিনি।
ফুটবলের সাথে যত মধুর ছিলো মারাদোনার সম্পর্ক, সংবাদকর্মীদের সাথে ততটাই অম্ল। ৯৮তে সালে গনমাধ্যমকর্মীর উদ্যোশে এয়ার রাইফেলের গুলি ছুড়ে আদালতের কাঠগড়ায় যেতে হয়েছিলো ফুটবল জাদুকরকে।
মারাদোনার কালো অধ্যায়েজুড়ে আছে কর ফাঁকির মামলা। ইতালির বিপক্ষে দীর্ঘ আইনী লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত অবশ্য জিতেছিলেন এই নাপোলি সুপারস্টার।
কোচ হয়ে ফুটবলে ফিরে এলেও বিতর্ক এড়াতে পারেননি মারাদোনার। ২০১০ বিশ্বকাপ খেলতে দক্ষিণ আফ্রিকা যাওয়ার আগে সংবাদকর্মীর পায়ে গাড়ি উঠিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন আর্জেন্টাইন বস। সে বছরই পেলেকে সমকামী ইঙ্গিত করে আরও একদফা উসকে দেন দুজনের চির বৈরিতার ঝাঁজ। যদিও তার আগে মারাদোনাকে খারাপ রোল মডেল বলে মন্তব্য করেছিলেন পেলে।