গ্রুপে রিয়াল মাদ্রিদ আছে, আছে ইন্টার মিলানের মতো দল, তবে লিড করছে মুনশেন গ্ল্যাডবাখ আর শাখতার। গ্রুপ পর্বের ফিরতি লেগে মুখোমুখি হবার অপেক্ষায় দুই জায়ান্ট। যেখানে রিয়ালের আত্মবিশ্বাস প্রথম লেগে বার্নাব্যুতে ৩-২ এর জয়।
তবে কম কোথায় ইন্টার? সান সিরোতে তারা যে কখনই হারেনি লসব্ল্যাঙ্কোদের বিপক্ষে। সেই সাথে দলটার প্রেরণা, অবশেষে জয়ের ধারায় ফেরা। টানা চার ম্যাচে জয়হীন থাকার পর অবশেষে পিছিয়ে পড়েও তুরিনোকে হারানো স্বাগতিকদের অনুপ্রাণিত করবে নি:সন্দেহে। দুদলের শেষ ১০ দেখায় ৫ জয়ে এগিয়ে ইন্টার, রিয়াল জিতেছে চারটা অপরটা ড্র। কোভিড আক্রান্ত আলেকজান্ডার কোলারভ আর মার্সেলো ব্রোজোভিচকে পাচ্ছেননা মাস্টারমাইন্ড কন্তে।
তবে সফরকারিদের দুশ্চিন্তা আরো বেশি। রক্ষণের ত্রাতা, দলের অধিনায়ক সার্জিও রামোস চোটে...খেলার সম্ভাবনা ক্ষীণ। সেই সাথে জয়ের স্বাদ যেনো ভুলে গেছে মাদ্রিদ জায়ান্টরা। লিগে সবশেষ দুই ম্যাচে ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে পরাজয়ের পর , ড্র করেছে ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে। এ ম্যাচে ফেরার অপেক্ষায় করিম বেনজামা।
ইতিহাস গড়ে রিয়াল সান সিরো জয় করলে, অনেকটা বিদায় নিশ্চিত হবে মিলানের দলটার। গ্রুপের তিন ম্যাচে দুই ড্র আর এক হারে তাদের অর্জন মাত্র ২ পয়েন্ট।
এদিকে অ্যানফিল্ডে আটালান্টাকে আতিথ্য দেবে ইংলিশ লিগ চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল। জিতলেই রাউন্ড অব সিক্সটিন নিশ্চিত হবে অলরেডদের। ঘরের মাঠের সাথে দুদলের সবশেষ দেখায় ৫-০-র বড় জয় ক্লপের দলের প্রেরণা। কোভিড আক্রান্ত ফরোয়ার্ড মোহামেদ সালাহ সুস্থ, যোগ দিয়েছেন দলের অনুশীলনে, অপেক্ষা শুধু ম্যাচে নামার।
২০০৯ সালের পর প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টানা চার ম্যাচ জয়ের অপেক্ষায় অলরেডস। তবে শঙ্কাও আছে, আসরে নিজেদের সবশেষ ৩ অ্যাওয়ে ম্যাচে জয় সঙ্গী আটালান্টার।
এদিকে ম্যানচেস্টার সিটি আতিথ্য নেবে অলিম্পিয়াকোসের। জয় পেলেই নকআউট নিশ্চিত করবে গার্দিওলার দল। আসরে প্রথম তিন ম্যাচে জয় পাওয়া সিটির সামথ্য বোঝাবে। অ্যাওয়ে ম্যাচ কিছুটা চিন্তার কারণ হতে পারে সফরকারিদের। ঘরের মাঠে সবশেষ দুই ম্যাচে জয় পেয়েছে অলিম্পিয়াকোস।