রোনালদো বিদায় নিয়েছেন। মেসি নেই তার সেরা ফর্মে। উত্তাপহীন এল ক্ল্যাসিকোর শঙ্কা ছিলো যাদের তাদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখালো দুই চির প্রতিদ্বন্দী বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদ। যেখানে শেষ হাসি হেসেছে মাদ্রিদ জায়ান্টদের।
১১৮ বছরের ঐতিহ্যে প্রথমবার গ্যালারিতে নেই কোন দর্শক। তাতেও রোমাঞ্চের কোন কমতি ছিলো না। পঞ্চম মিনিটেই এগিয়ে যায় রিয়াল। করিম বেনজেমার ডিফেন্সচেরা পাস থেকে কোণাকুণি শটে বল জালে জড়ান ফেদেরিকো ভালভার্দে।
তবে লস ব্লাঙ্কোরা সে লিড ধরে রাখতে পেরেছে মাত্র ৩ মিনিট। বা প্রান্ত থেকে জর্ডি আলবার ক্রস থেকে অসাধারণ ফিনিশিং নতুন বিস্ময় আনসু ফাতির।
পুরো ম্যাচে প্রায় নিষ্প্রভ লিওনেল মেসি সুযোগ পেয়েছিলেন একবারই। তবে থিবো কোর্তোয়ার বিশ্বস্ত হাতের কাছে এলএমটেনের বা পা ও যেনো বড্ড নড়বড়ে।
পরের মিনিটে মেসির গল্পের পুনর্মঞ্চায়ন করেন করিম বেনজেমা।
ক্লাসিকোতে সার্জিও রামোস মানেই বিতর্ক। ৫৯ মিনিটে পেনাল্টি পায় রিয়াল মাদ্রিদ। তবে রিপ্লেতে স্পষ্ট, ডি বক্সের ভেতর ইচ্ছাকৃতভাবে পরে যান রিয়াল অধিনায়ক। ভিএআর সহায়তা নিয়েই সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন রেফারি। স্পট কিক থেকে দলকে আবারো লিড এনে দেন সার্জিও রামোস। বার্সার বিপক্ষে তার পঞ্চম গোল।
যেভাবেই হোক, অধিনায়কের প্রত্যাবর্তনে বদলে গেছে লস ব্লাঙ্কোরা। লিগে কাদিজ আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শাখতার দুঃস্বপ্ন ভুলেছে।
শেষ ১০ মিনিট মাদ্রিদের কাছে পাত্তাই পায়নি বার্সেলোনা। টনি ক্রোসের ব্যাক টু ব্যাক শট রুখে দেন বার্সার গোলরক্ষক নেতো। পরের মিনিটে ক্রোসের কর্ণার থেকে রামোসের ভলিও জালে জড়াতে দেননি এ ব্রাজিলিয়ান।
অসাধারণ কিছু সেভ করা নেতো ভুল করে বসেন ম্যাচের ৯০ মিনিটে। আর সে সুযোগে নিজের অভিজ্ঞতার পুরোটা ঢেলে দিয়ে স্কোর করেন লুকা মদ্রিচ।
ঐতিহ্য আর মর্যাদার ম্যাচে ন্যু ক্যাম্পে এ হার নতুন করে সমালোচনার উৎস হবার পথে কোম্যান এন্ড কোস্পানি।