কমিটি ২১জনের হলেও ফুটবল ফেডারেশন আসলে ওয়ান ম্যান শো। আলোচনা, সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে সভাপতি।
এক যুগ আগে গঠনতন্ত্র বদলে নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক পদ বিলুপ্তের পর সভাপতির গুরুত্ব আরো বেড়েছে। ফিফা-এএফসিও চলে একই নিয়মে।
তাই কে হচ্ছেন সভাপতি? ফুটবল নির্বাচনে এটিই সবচেয়ে দামি প্রশ্ন।
ব্যালটে নাম থাকবে তিনজনের। কাজী সালাউদ্দিন। বাদল রায়। শফিকুল ইসলাম মানিক। ঘোষণা দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাড়ালেও তিন অক্টোবরের নির্বাচনে ট্রাম্প কার্ড বাদল রায়ের নামটাই।
তাই তাকেও গোনায় ধরছেন বাকি দুই প্রতিপক্ষ।
ক্ষমতার মসনদে থেকে নির্বাচন করছেন সালাউদ্দিন। তিনবারের সভাপতিত্ব, পেছনের ক্যারিশমেটিক ফুটবল ক্যারিয়ার, ব্যক্তিতের মোড়ক। যে কাউকে আকর্ষণ করতে যথেষ্ট। কিন্তু এক যুগে সেই মোহের কতটা টিকে আছে?
সালাউদ্দিনের প্রতিপক্ষ শফিকুল ইসলাম মানিক ফুটবল সংগঠক হিসেবে নবীনতম। ফুটবলার পরিচয় শেষে কোচ হিসেবেই আলোচিত। এখন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের কোচের দায়িত্ব।
সালাউদ্দিনকে চ্যালেঞ্জ জানানোর জেদ থেকেই নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন অসুস্থ বাদল রায়। আবার সেই অসুস্থতার দোহাই দিয়ে সরেও দাড়াতে চেয়েছিলেন। নেপথ্যে অবশ্য অনেক গুঞ্জনই বাতাসে উড়ছে।
র্যাঙ্কিংয়ে দেড়শর মধ্যে নিয়ে আসার স্বপ্ন দেখানো ইশতেহার দিয়েছেন কাজী সালাউদ্দিন। তার বড় স্বপ্ন অলিম্পিক খেলার মত দল গড়া।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে যতই ঝড় উঠুক, নির্বাচনে এবারো ফেভারিট কাজী সালাউদ্দিন। আগের তিনবারও খুব সহজেই বাধা টপকেছিলেন। ২০০৮-এ আমিন আহমেদ চৌধুরী, ১৬ তে কামরুল আশরাফ খান পোটনকে হারিয়েছেন। আর ১২ তেতো বিনা বাধায়।
তিন সভাপতি প্রার্থীর কেউই নিজের ভোট নিজেকে দিতে পারবেন না। কারণ আইনের মারপ্যাচে তারা ভোটারই নন।