২০০৮ সালে এনামুল হোসেন রাজীবের হাত ধরে পঞ্চম ও শেষ গ্র্যান্ডমাস্টার পেয়েছিলো বাংলাদেশ। এরপর কেটে গেছে দশ বছর। কিন্তু জাতীয় দাবায় আর একসাথে খেলা হয়নি এই পাঁচজনের।
জাতীয় আসরে জিয়াউর রহমান, এনামুল হোসেন রাজীব ও আব্দুল্লাহ আল রাকিব নিয়মিত মূখ হলেও কর্মব্যস্ততা আর ব্যক্তিগত কারণে অনিয়মিত ছিলেন রিফাত বিন সত্তার ও নিয়াজ মোর্শেদ। তবে দাবার টানই আবারও এক করেছে সবাইকে।
দাবা বোর্ডে প্রিয় মুখ গুলোকে পেয়ে তৃপ্ত আরেক গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান। টুর্নামেন্ট সর্বোচ্চ ১৪বারের চ্যাম্পিয়ন বলছেন, জাতীয় দাবার জৌলুসতো বটেই দেশসেরা দাবাড়ুদের অন্তর্ভূক্তিতে লাভবান হবে তরুণরাই। অগ্রজদের পেয়ে আনন্দিত অনুজরাও।
যদিও টুর্নামেন্টের পদ্ধতিসহ বিভিন্ন দাবিতে ৪৫তম আসরে প্রথমে অংশ নিতে চাননি রাকিব ও রাজীব। তবে শেষ পর্যন্ত ফেডারেশনের আশ্বাসে ফিরেছেন তারাও। পাঁচ গ্র্যান্ডমাস্টারের আসরে নতুন রেকর্ড গড়েছেন চট্টগ্রামের দাবাড়ু মনন রেজা। মাত্র ৯ বছর বয়সেই জাতীয় আসরে খেলছেন এই ক্যান্ডিডেট মাস্টার। তার আগে মাত্র ১০ বছর বয়সে জাতীয় দাবায় অভিষেক হয়েছিলো উপমহাদেশের প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার নিয়াজ মোর্শেদের।
সবকিছু ঠিক থাকলে এমাসের শেষদিকে আবারও একসাথে দেখা যেতে পারে পাঁচ গ্র্যান্ডমাস্টারকে। আট দেশের অংশগ্রহণে প্রথমবারের মতো সার্ক চেজ চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করতে চলেছে বাংলাদেশ। মিলেছে ফিদার অনুমতিও।