টুর্নামেন্টজুড়ে ব্ল্যাকক্যাপদের ভাগ্যের সঙ্গ দেয়া নিয়ে যা ছিলো উপহাস, শেষ পর্যন্ত তা হলো পরিহাস। পেছনের পা বাউন্ডারী লাইন ছুঁয়ে যাওয়ায় বল বোল্টের তালুবন্দী। কিন্তু ছক্কানন্দে ব্যস্ত স্টোকস, পুরো ইংল্যান্ড। যা ফাইনালেরই টার্নিং পয়েন্ট।
স্টোকসের যে ব্যাট বোলারদের শাসন করলো, সেই ব্যাটই স্টোকসের অজান্তে গাপটিলের করা থ্রোকে নিয়ে গেল বাউন্ডারির বাইরে। মারাদোনার যে হাত ইংল্যান্ডকে পুড়িয়েছে আজীবন, ক্রিকেটে ইংলিশদের ইতিহাস সেরা অর্জনে সেটা "ব্যাট অফ গড"। তার চেয়েও বড় ভূল আম্পায়ারদের। স্টোকস .. দুরান পূর্ণ না করলেও দেয়া হয়েছে সেটাকে ডাবলসের স্বীকৃতি।
এক বলে দরকার দুই রান। পঞ্চাশতম ওভারের শেষ বলে যা ছিলো ইংল্যান্ডের অবস্থা। একই পরিস্থিতি নিউজিল্যান্ডেরও। মিল, দুদলই রান দুটো সম্পূর্ণ করতে ব্যর্থ। তবে ঠান্ডা মাথায় রয় আর বাটলার যোগসূত্রে গাপটিলের রান আউটটাই বেশী আলোচিত হয়ে থাকলো ম্যাচটা উইনিং মোমেন্ট বলে। পুরো লর্ডস উল্লাসে ভাসলো বলে।
সুপার ওভারে বাটলারের শট ডিপ কাভারে অনায়াসেই ধরতে পারতেন হেনরি নিকোলস। কিন্তু সূর্যের আলো সরাসরি চোখে পড়ায় বল খুজতে গিয়ে সময় নষ্ট। এক রানের জায়গায় দুই রান ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারনের ক্ষেত্রেও রাখে বড় ভূমিকা।
ইংল্যান্ডের পরাজয় প্রায় নিশ্চিতই হয়ে গিয়েছিলো দলীয় ৮৬ রানে অধিনায়ক ওয়েন মরগ্যানের বিদায়ে। নিশামের বলে অবিশ্বাস্য সেই ক্যাচটা নিয়েছেন লকি ফার্গুসন।
হার যেমন ইংল্যান্ডের প্রাপ্য ছিলোনা। তেমনটা নিউজিল্যান্ডেরও। এমন সব স্মরণীয় মুহুর্তগুলো একসাথে যেদিন ঘটে বিশ্বকাপ ইতিহাসের সেরা ম্যাচের স্বীকৃতি সেটা পেতেই পারে।