মাঠে সবার আগে হাজির কে? অনুশীলনে সবার শেষে মাঠ ছাড়বেন কে? উত্তর একটাই। মুশফিকুর রহিম। তার ডেডিকেশন আর কঠোর পরিশ্রম নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। সারা বছর জুড়ে রোদ-বৃষ্টি, অন বা অফ সিজনে মিরপুর ইনডোরে গেলেই দেখা মিলবে মুশফিকের।
পরিশ্রমের পুরস্কার পেয়েছেন ধারাবাহিক সাফল্যে। বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান মুশফিক। পরিসংখ্যানে সেরা তিন ব্যাটসম্যানের একজন ।
অপেক্ষায় চতুর্থ বিশ্বকাপ খেলার জন্য। ২০ বছর বয়সে প্রথম বিশ্বকাপ খেলেছিলেন। তিন বিশ্ব আসরের ২১ ম্যাচে করেছেন ৫১০ রান। তবে নেই কোনো শতক । ২০০৭-এর চেয়ে ১১তে পারফরম্যান্স ছিলো নিম্নমুখী।তবে ২০১৫তে ৬ ম্যাচে ২৯৮ রান করেছিলেন।
১৩ বছরের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ২০৫ ম্যাচে করেছেন সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি রান। সেঞ্চুরি ছয়টি। ছিলেন দলের অধিনায়ক আবার তা হারিয়েছেনও। ক্যারিয়ারের শুরুটা টেস্ট অভিষেকের মাধ্যমে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০০৫ সালে স্বপ্নের লর্ডসে শুরুটা ভুলে যাবার মত। তবে সময়ের সাথে মুশফিক হয়েছেন পরিনত। ওয়ানডে আর টি টোয়েন্টিতে যাত্রা শুরু ২০০৬এ।
জন্ম ১৯৮৭ সালের ৯ জুন বগুড়ায়। ৫ ফুট তিন ইঞ্চি উচ্চতার খর্বকায় মুশফিক বিকেএসপিতে ক্রিকেট দীক্ষা নিয়েছেন, শিক্ষা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। বাবা মাহবুব হোসেন তারা ক্রিকেটপাগল। যেখানেই ছেলের খেলা সেখানেই সঙ্গী তিনি। মা রহিমা খাতুনও সবসময় কামনা করেন ছেলের সাফল্য।
২০১৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর বিয়ে করেছেন জান্নাতুল কিফায়াতকে। ছেলে শাহরোজ রহিম মায়ান। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ সম্পর্কে ভায়রা ভাই। স্কয়ার ড্রাইভ,সুইপে তার মত এতটা সাবলীল আর কোন ব্যাটসম্যানকেই দেখা যায়নি। তবে শর্ট বলের ফাঁদে পড়েন মাঝে মধ্যে ।
আরো এক অভিযোগ আছে। দারুণ শুরুর পরও শেষ করে আসতে না পারা। বিশ্ব টি টোয়েন্টি, এশিয়া কাপ বা ত্রিদেশীয় সিরিজে ম্যাচ জিতিয়ে না আসতে পারা নিশ্চয় পোড়ায় তাকেও।
নিজেকে গুটিয়ে রাখেন মুশফিক। তবে কথা বলে তার ব্যাট। যদিও এবারের বিশ্বকাপ শুরুর আগে গেইলের ব্যাটিং স্টাইল নকল করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচিত হয়েছেন।
মুশফিকের প্রোফাইলের ভিডিও-