লঞ্চ ডোবে; লাশ ভাসে। মামলা হয়, কিন্তু হয় না বিচার। অবহেলাজনিত মৃত্যু ও বেপরোয়া জাহাজ চালানোর অভিযোগে মামলায় ধারা দেয়া হয় ২৮০ ৩০৪ ক ও ৪৩৭ ধারায়। যার সর্বোচ্চ সাজা ১০ বছর কারাদণ্ড। কিন্তু চার্জশিট হওয়ার পর দেখা যায় সবাইকে অভিযুক্ত করা হয় ৩০৪ ক ধারায় যার সাজা আরও কম মাত্র ৫ বছর।
দেশে লঞ্চ ও নৌ দুর্ঘটনার ১৮ টি মামলা নৌ আদালতে চলমান। সবশেষ গেলে বছর জুনে ময়ূর ২ লঞ্চ দুর্ঘটনা ঘটে। মারা যায় ৩৪ জন। মালিকসহ বেশকজনকে আসামি করে চার্জশিট দেয়া হয়েছে, তবে ধারা সেই আগেরগুলোই।
নৌ আদালতে বিচারাধীন মামলাগুলোর মধ্যে পিনাক-৬, এমভি মিরাজ, এমভি বন্ধন, এমভি সারথী মতো বড় বড় মামলার কার্যক্রম উচ্চ আদালতে স্থগিত রয়েছে। এসব মামলা শুরুর কোন উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি রাষ্ট্রপক্ষকে।
চাঁদপুরে ২০০২ সালে এমভি সালাউদ্দিন ডুবে যায় মারা যান ৩৬৩ যাত্রী। ২০০৩ সালে ডোবে এমভি নাসরিন। মারা যায় ৬৪১ জন। ২০০৪ সালে এমভি লাইটিং সান লঞ্চ দুর্ঘটনায় মারা যান ৮১ জন। এমভি দিগন্ত লঞ্চ দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিলো শতাধিক যাত্রী। এছাড়া ভৈরবের মেঘনা নদীতে এমএল মজলিসপুরে ডুবে মারা যান ৯০ জন। তবে এসব মামলার কোনটিরই সাক্ষীরা ঠিক মত আসেননি সাক্ষ্য দিতে। আর তাই চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হয়নি কোন মামলা।
গেলো ২৫ বছরে প্রায় ৪ শতাধিকেরও বেশি নৌ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে সব মিলিয়ে নিহত হয়েছে চার হাজারের বেশি মানুষ।