হাঁটি হাঁটি পা করে দেশ যখন উন্নয়নের সোপানে, ঠিক তখনই ফণা তুলেছে করোনা, বসিয়েছে বিষাক্ত ছোবল। যে মহামারীর প্রভাব পড়েছে কৃষি অর্থনীতিতে।
সময়ের ঘড়িতে জেঁকে বসা এমন দু:সময়ে যখন নুন আনতে পান্তা ফুরায় কৃষকের ঠিক তখনও কৃষি অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছে নারীরা।
উত্তরের জেলা গাইবান্ধার ফুলছড়িতে রুমি, আসলেমা, মল্লিকারা ঝুড়ি ভরে স্বপ্ন বুনছেন তারা। বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা একশন এইডের পাওয়ার প্রকল্প থেকে নিচ্ছেন বীজ সংরক্ষণের প্রশিক্ষণ। প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ২৫শ' নারী সদস্যকে বীজ সংরক্ষণের প্রশিক্ষণ দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে একশো সিড ব্যাংক।
মুদ্রার একপিঠে গল্পটা ভারসাম্যের হলেও অন্যপিঠে চিত্রটা বেশ ভিন্ন। যেমন মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের মোমেনা, সিনথিয়া, জিয়াসমিন। নিজেদের একটুকরো জমিতে তারা ফসল বোনেন দীর্ঘদিন। তবে অভাবের এমন সময়ে স্বপ্ন বুনতে দিতে হচ্ছে চড়া মূল্য।
সারাদেশে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে বীজ দেয়া হলেও তাতে বঞ্চিত হচ্ছে নারী কৃষক।
এত কিছুর পরেও ফসলের মাঠে টিকে আছে নারীর সংগ্রাম। তবে বর্তমান অভিজ্ঞতা আমলে নিয়ে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় সরকারও দিতে চায় বাড়তি নজর।