পদ্মা যশোলদিয়া পানি শোধনাগার প্রকল্পে ঠিকাদারের অনিয়মে আপত্তি তুলে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের রোষানলে পড়ে সরে যেতে হয় প্রকল্প পরিচালক রশিদ সিদ্দিকীকে। পরে দায়িত্ব পান রফিকুল ইসলাম। অনিয়মে ভরা এই প্রকল্পের শেষ পর্যন্ত দায়িত্বে ছিলেন তিনিই।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না সিএএমসির সাথে রফিকুল ইসলামের সম্পর্ক পুরনো। ২০১২ সালে ওয়াসার কমলাপুর-রামপুরা পাম্পিং স্টেশনের কাজও করেছিলো প্রতিষ্ঠানটি। যা এখন অকেজোপ্রায়। রফিকুল ছিলেন সেই প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী। প্রকল্পের ঠিকাদারের স্থানীয় এজেন্ট ছিলেন আজিজুল আকিল ডেভিড। যিনি ন্যাশনাল ডিজাইন অ্যান্ড কন্সট্রাকশন লিমিটেডের অংশীদার। এই প্রতিষ্ঠানেরই আরেক অংশীদার ফাতেমা জেরিন। যিনি রফিকুল ইসলামের স্ত্রী। কার্যত স্ত্রী আর বন্ধুর নামেই চলতো ব্যবসা।
রফিকুল ইসলামের দাবি প্রতিষ্ঠানটি ২০০৭ সালে বিলুপ্ত হয়েছে। কিন্তু নথিতে দেখা গেছে, ২০০৯ সালেও ঠিকাদার হিসাবে ৬৪ কোটি টাকার বিল উঠিয়েছে ন্যাশনাল ডিজাইন অ্যান্ড কন্সট্রাকশন লিমিটেড।
বিধিমালা অনুযায়ী, সরকারি কর্মচারীরা নিজ এখতিয়ারাধীন এলাকায় পরিবারের কাউকে ব্যবসার অনুমতি দিতে পারেন না। এ নিয়ে ২০১২ সালে রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ওয়াসার এমডিকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলো স্থানীয় সরকার বিভাগ। কিন্তু ব্যবস্থা তো দূর, উল্টো তাকসিম এ খানের আশির্বাদে পেয়েছেন পদোন্নতি। যশোলদিয়ার পর এখন তিনি বিশ্বব্যাংক প্রকল্পের পরিচালক।
২০১২ সালের আগে সিএএমসির স্থানীয় এজেন্ট ছিলো সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেনের সাকো ইন্টারন্যাশনাল। কিন্তু রামপুরা প্রকল্পের কাজ পেয়েই তার স্থানীয় এজেন্ট বনে যায় রফিকুলের স্ত্রী আর বন্ধুর প্রতিষ্ঠান। লিখিতভাবে সেই অনিয়ম জানানোও হয় ওয়াসাকে। কিন্তু ফলাফল শূন্য।
নিউজটির দেখুন ভিডিওতে-