কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতাল। এটিও রক্ষা পায়নি সাহেদের প্রতারণা থেকে। একাজে সে ব্যবহার করেছে, হোটেল মিলিনাকে।
হাসাপাতালের নথি ঘেঁটে দেখা যায়, হোটেলটিকে রিজেন্ট ডিসকভারি ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলসের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে চুক্তি করেন সাহেদ। করোনা চিকিৎসায় নিয়োজিত কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের নার্স ও ডাক্তারদের রাখা হতো হোটেলটিতে।
কিন্তু শুরু থেকেই ছিলো নানা অনিয়মের অভিযোগ। ডাক্তার ও নার্সরা না খেলেও বিল করতেন সাহেদ। এভাবে দুমাসে খাবারের খরচ বাবদ ৭ লাখ ৫৬ হাজার ৫৫০ টাকা বিল নিয়েছেন তিনি।
হাসপাতাল সুপারিন্টেন্ডের দাবি, সাহেদের এই অপকর্মের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রশাসনিক কর্মকর্তা আলিমুজ্জামানের অন্যত্র বদলি করা হয়েছে।
সাহেদ গ্রেপ্তারের পরদিন থেকেই বন্ধ মিলিনা হোটেল। চ্যানেল 24-র উপস্থিতির খবর পেয়ে ছুটে আসেন মূল মালিক। তার দাবি, হোটেলটি ভাড়া নিয়ে নানা অপকর্ম করতো সাহেদ। ঢুকতে দেয়া হতো না তাকেও।
তার অভিযোগ, নিজের আধিপত্য ধরে রাখতে উত্তরায় বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী দল পালতো সাহেদ।