সময় যত গড়াচ্ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যাও তত বাড়ছে। এতে অনেকটাই বিপাকে পড়ছে দেশের হাসপাতালগুলি। এদের মধ্যে ব্যতিক্রম নয় রাজধানীর মুগদা হাসপাতাল।
হাসপাতালটির আইসিইউ- যেখানে রোগীর জীবন রক্ষায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন চিকিৎসক। ডাক্তার, নার্স, ওয়ার্ড বয়, আয়া সবাই মিলেই চেষ্টা করে যাচ্ছেন একজন রোগীকে আইসিউতে সুস্থ করে তোলার।
চিকিৎসা দিতে গিয়ে এরই মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন অধিকাংশ চিকিৎসক ,নার্সসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী। ফলে দেখা দিয়েছে জনবল সংকট।
এতোগেল আইসিইউর চিত্র। হাসপাতালটির বিভিন্ন ওয়ার্ডেও দেখা যায় একই চিত্র। বিভিন্ন ওয়ার্ডে রোগীদের সারিয়ে তুলতে সব সময় পাশে থাকছেন চিকিৎসকরা। তবে নার্সরা বলছেন, তাদের অনেকেই এরই মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন, তাই সেবা দিতে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। বলছেন অতিদ্রুত নার্সের সংখ্যা না বাড়ালে সামনের অবস্থা হবে ভায়াবহ।
চিকিৎসক, নার্সদের পাশাপাশি দিন রাত কাজ করে যাচ্ছেন ওয়ার্ড বয় ও পরিছন্নকর্মীরাও।
তবে, উদাসিন রোগী ও তাদের স্বজনেরা। কোন স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই অবাধে চলাচল করছেন তারা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে ঝুঁকি নিয়ে রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা দেয়া হচ্ছে। তবে, স্বাস্থ্য কর্মীরা সংক্রমিত হওয়ায় সেবা দিতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে তাদের। জানালেন বর্তমানে সব থেকে বেশী সংকট আইসিইউ বেড ও এনেস্থেশিয়ালজিষ্টের।
সরকারি এই হাসাপাতালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি আছেন ১২৯১ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭৯৫ জন, আর মারা গেছেন ১৩৪ জন।
পুরো হাসপাতাল ঘুরে এবং ডাক্তার, নার্স, ওয়ার্ডবয়, রোগীদের সাথে কথা বলে দেখা গেল মুল সমস্যা জনবলের। দিন দিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে আর কমছে স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারীর সংখ্যা। হাসপাতালটিতে এই পর্যন্ত চিকিৎসক নার্স সাস্থ্যকর্মী সহ মোট আক্রান্ত হয়েছে ২১৪ জন। সব থেকে বেশী আক্রান্ত নার্স ৮৪ জন।