অভিজাত এলাকা ধানমন্ডি ঘেষা হাজারীবাগে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি খুব একটা। এ যেন অনেকটাই প্রদীপের নীচে অন্ধকার।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির ১৪ নম্বর ওয়ার্ড এক সময় দূষিত হয়ে উঠেছিলো ট্যানারির বিষাক্ত বর্জ্যে। প্রায় দুবছর আগে, সাভারের হেমায়েতপুরে ট্যানারি সরিয়ে নিলেও, এখনও নিস্তার মেলেনি সে দূষণ থেকে। ভোটাররা বলছেন, সিটি নিবার্চনে তাদের পক্ষেই পড়বে রায় যারা হাজারীবাগকে দূষণমুক্ত করে ঢেলে সাজাবেন।
তাঁরা বলেন, সমস্যার তো শেষ নেই। আগে যে পরিমাণ ময়লা ছিল এখন তাঁর থেকে কম নাই, প্রচুর ময়লা। ধানমন্ডির দিকে যেমন পয়-পরিষ্কার থাকে এখানে তেমন নেই। ময়লা পরিষ্কার করা হয় ২/৩দিন পর পর, যার ফলে দুর্গন্ধ আর মশা তো আছেই।
পাশের এলাকা ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কালুনগর। এখানকার বাসিন্দাদের গলার কাঁটা একটি খাল। মাদকের বিস্তার নিয়েও দুঃশ্চিন্তায় তারা।
এলাকাবাসী বলছেন, খালের জন্য আমাদের অনেক কষ্ট হচ্ছে, ময়লা আর দুর্গন্ধ সাথে রয়েছে মশা। এই খালকে বলেছিল ঝিল বানাবে, কিন্তু সেটাই এখন ডাস্টবিনে পরিণত। এছাড়া বাচ্চাদের খেলার মাঠ নেই, যার কারণে বিভিন্ন ধরণের নেশায় তাঁরা জড়িয়ে পরছে।
ধানমন্ডির আবাসিক এলাকা পড়েছে দক্ষিণের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে। যা এখন শুধু নামেই আবাসিক, এখানকার মূল সমস্যা, যানজট আর বর্ষার দিনে জলাবদ্ধতা।
ভোটাররা বলছেন, একটু বৃষ্টি হলেই এখন রাস্তায় পানি জমে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। তাই ড্রেন সিস্টেমগুলো নিয়ে কাজ করা প্রয়োজন।
শুধু নির্বাচনের সময় নয়, সুখে-দুঃখে সবসময় যাদের পাশে পাবেন তাদেরই মেয়র এবং কাউন্সিলর পদে ভোট দেবেন এই তিন এলাকার ভোটাররা।