ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল সারা দেশ। যার ফলশ্রুতিতে ধর্ষণের ৫৭ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারও করা হয় অভিযুক্ত মজনু মিয়াকে। অথচ বেশিরভাগ ঘটনাই থেকে যায় অন্তরালে।
পুলিশের হিসাব বলছে, ২০১৯ সালে ৫ হাজার ৪'শ জন নারী ধর্ষণের শিকার হন। এর আগের বছর ধর্ষণের শিকার হন ৩ হাজার ৯'শ জন।
নারীর প্রতি সহিংসতার অন্য চিত্রগুলোও ভয়াবহ। মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য, ২০১৯ সালে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন ২'শ ৫৮ জন নারী। ২০১৮ সালে এ সংখ্যা ছিল ১৭০ জনে।
পুলিশের হিসাবে দেখা গেছে, গেল বছর দেশে নারী নির্যাতনের ৯৩ হাজার ৯'শ মামলা বিচারাধীন ছিল। আর সাজা হয়েছে মাত্র ১ হাজার ১'শ ৩৩টি মামলার আসামির। নারীর প্রতি সহিংসতা বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে বিচারহীনতাকেই দায়ী করছেন তরুণরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু আইন আর শাস্তির মাধ্যমে অপরাধ কমানো সম্ভব নয়। ধর্ষণের মতো সামাজিক ব্যাধি প্রতিহত করতে হবে সামাজিকভাবে।
নোয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর গুলজার আহমেদ জুয়েল বলেন, সামাজিক অবক্ষয়ের বিষয় আছে, কিছু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বিষয় আছে, আবার কিছু গ্রাম্য রাজনীতি যেমন প্রতিপক্ষকে গায়েল করার জন্য মিথ্যা মামলা সাজানো ইত্যাদি।
মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, বিচার হয়েছে শুধু আলোচিত দু-একটি ঘটনার। বাকী ঘটনাগুলোর দিকেও গুরুত্ব দেয়ার তাগিদ তাদের।
বগুড়া নারী ও শিশু বিকাশকেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক নিভা রানী সরকার বলেন, আইনের শাসন দিয়ে কখনও অবক্ষয় রোধ করা যায় না। আমাদের অবক্ষয় রোধ করতে হবে পারিবারিক অনুশাসন, পারিবারিক মূল্যবোধ ও ধর্মীয় মূল্যবোধ দিয়ে।
নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে পরিবারকে অগ্রণী ভূমিকা রাখার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।