২৫ বছর বয়সী আব্দুর রহিম। নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করছেন দীর্ঘদিন ধরে। প্রচণ্ড শব্দের মধ্যে কাজ করায় ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে তার শ্রবণশক্তি। ৫০ বছর বয়সী এক নারীর কানে ছোটবেলায় ঢুকেছিলো পানি। এখনও ভুগছেন সমস্যায়। শ্রবণ সমস্যা নিয়ে প্রতিদিনই বিভিন্ন বয়সের মানুষের চিকিৎসা নিতে আসছেন জাতীয় নাক, কান, গলা ইন্সিটিটিউটে।
পরিসংখ্যান বলছে বাক ও শ্রুতিহীনতা বাংলাদেশের ২য় বৃহত্তম প্রতিবন্ধীতা। বর্তমানে দেশে বধিরতার হার ৯ দশমিক ৬ জন। মৃদু থেকে প্রকট মাত্রার বধিরতায় ভুগছেন প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ মানুষ। আর ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষ প্রতিবন্ধিতা বা অক্ষমতা সৃষ্টিকারী বধিরতায় ভুগছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন আইনের যথাযথ প্রয়োগের অভাবেই শব্দ দূষণের কারণে তৈরি হচ্ছে বধিরতা। তবে শ্রবণের কোন সমস্যা দেখা দিলে যতদ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত বলে জানান বিশেষজ্ঞ।
বিশ্বের প্রায় ৪৬ কোটি মানুষ শ্রুতিহীনতার ভুগছেন। যার মধ্যে ৪২.৮ কোটি মানুষ প্রাপ্ত বয়স্ক আর ৩.২ কোটি শিশু। ২০৫০ সালের মধ্যে সারা পৃথিবীতে ৯০ কোটি মানুষ অক্ষমকারী বধিরতায় ভুগবে। বর্তমানে দেশে বধিরতার হার ৯.৬ জন।
যথা সময়ে বধিরতা নিরুপিত না হওয়ায় বিশ্ব অর্থনীতিতে এর প্রভাব প্রায় ৭৫০ বিলিয়ন ডলার।