পিলখানা ট্র্যাজেডির ভয়াবহ নৃশংসতার পর, হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে আলাদা দুটি মামলার বিচার শুরু হয়, একসাথে। বিচারিক আদালত ও হাইকোর্ট দু জায়গাতেই হত্যা মামলার বিচার শেষ হলেও; ঝুলে আছে বিস্ফোরক আইনে করা মামলাটি। এরইমধ্যে কেটে গেছে একযুগের বেশি-সময়। এ মামলায় ১৩শ' সাক্ষীর মধ্যে মাত্র, ১৮০ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। ফলে হত্যা ও বিদ্রোহ মামলায় খালাস মিললেও; কারাগার থেকে বের হতে পারছেন না, দুই শতাধিক আসামি।
এ মামলায় আপিল শুনানির জন্য বিশেষ বেঞ্চ গঠনের পাশাপাশি বিস্ফোরক মামলারও চূড়ান্ত নিষ্পত্তির দাবি জানিয়েছেন, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।
তবে এই দাবির সঙ্গে একমত নন অ্যাটর্নি জেনারেল। বিস্ফোরক মামলার ধীরগতির কারণ সম্পর্কে জানা নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায়, বিদ্রোহের নামে হত্যা করা হয় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাকে। নৃশংস এই ঘটনায় করা দুটি মামলার আসামি আছেন, ৮৫০ জন। এছাড়া বাহিনীর নিজস্ব আইনে করা ৫৭টি মামলায় প্রায় ৬ হাজার জনকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে।