কুয়েতে গ্রেপ্তারের আগ পর্যন্ত দেশে তেমন আলোচনায় ছিলেন না মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম ওরফে পাপুল। তবে, গ্রেপ্তারের পর একে একে বেরিয়ে আসে তার কুকীর্তির কথা। ঘুষ, অর্থ ও মানবপাচারে জড়িয়েছেন তিনি। নিজ ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে স্ত্রী সেলিনা ইসলামকে করেন সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য।
মানবপাচার ও ঘুষ দেয়ার প্রমাণ মেলায় গেল মাসে পাপুলকে ৪ বছরের সাজা দেন কুয়েতের আদালত। জরিমানা করা হয় প্রায় ৫৩ কোটি টাকা। বিদেশে কোনো এমপির সাজা হওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম। যাতে, তার সংসদ সদস্য পদ থাকা নিয়ে শুরু হয় নতুন আইনি প্রশ্ন।
সংবিধানের ৬৬ এর ২ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, কারও নৈতিক স্খলনজনিত সাজা ২ বছরের বেশি হলে সংসদ সদস্যপদ থাকতে পারবেন না তিনি। কিন্তু সংবিধানে বলা ছিল না, এই সাজা দেশে-নাকি বিদেশে।
সোমবার, প্রজ্ঞাপন জারি করে জাতীয় সংসদ জানায়, কুয়েতের ফৌজদারি আদালতে সাজা হওয়ায়; সংসদ সদস্য থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন, শহিদ ইসলাম পাপুল। তাই তার আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে।
পাপুলের বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট জালিয়াতিরও অভিযোগ রয়েছে। সিয়েরা লিওনের বিশ্ববিদ্যালয়ে যে বিষয়ে পড়ার, তিনি ও তার স্ত্রী তথ্য দিয়েছেন ওই প্রতিষ্ঠানে তখন ওই বিভাগই ছিল না। এতে স্ত্রীর সংসদ সদস্য পদ বাতিলের মামলা বিচারাধীন রয়েছে হাইকোর্টে।