দেশে করোনা সংক্রমণ যখন তুঙ্গে তখনও রাজধানীর নিম্ন আয়ের মানুষ ও তাদের বসবাসের এলাকায় মাস্ক পরা, কিংবা অন্য স্বাস্থ্যবিধিগুলো নিশ্চিত করা যায়নি। বস্তির মানুষদের মাঝে সংক্রমিত হবার হারও অপেক্ষাকৃত কম।
এবার গণটিকাদানেও নিম্ন আয়ের মানুষদের সাড়া কম। টিকাকেন্দ্রগুলোতে শিক্ষিত মধ্যবিত্তদেরই আনাগোনা বেশি।
করোনাকালের মতোই এখনও বস্তির বাসিন্দাদের মধ্যে ধর্মবিশ্বাস, ক্ষেত্রবিশেষে অজ্ঞতা বদ্ধমূল। কোভিডকে যেমন অগ্রাহ্য করেছিলেন- ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রেও একই মানসিকতা।
টিকা নেয়ায় উদ্বুদ্ধ করতে প্রয়োজনীয় প্রচারণামূলক কার্যক্রমে ঘাটতি দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। জোর দিলেন, নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠি ও এলাকাভিত্তিক সচেতনতামূলক উদ্যোগ নেয়ার ওপর।
তার মতে, নিম্ন আয়ের বিপুল জনগোষ্ঠিকে ভ্যাকসিনেশনের বাইরে রেখে হার্ড ইমিউনিটি অর্জন সম্ভব হবে না। তাই ভ্যাকসিনভ্রান্তি দূর করে নিবন্ধন প্রক্রিয়াকে নিতে হবে নিম্ন আয়ের মানুষের দোরগোড়ায়।
রাজধানীর নিম্ন আয়ের মানুষের মতোই ভ্যাকসিন নিয়ে গ্রামাঞ্চলের ধারণাও কাছাকাছি। তাই উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়েও সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানোর তাগিদ দিলেন গবেষক ও বিশেষজ্ঞরা।