প্রধানমন্ত্রীর সামনেই পাঁচ ফ্রন্টলাইনারকে একে একে দেয়া হয় ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে আসা অক্সফোর্ডের টিকা। রুনুর 'জয় বাংলা' উচ্চারণেই করোনার ভ্যাকসিনেশনে নাম লেখালো বাংলাদেশ। পরে প্রতিক্রিয়ায় রুনু কস্তা জানান সুস্থ আছেন, স্বাভাবিক আছেন তিনি।
টিকা নেয়ার আধাঘণ্টার মধ্যেই বেরিয়ে আসেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক। জানান, অন্যকে অনুপ্রেরণা দিতেই তার অংশগ্রহণ।
তালিকায় স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়াও ছিলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সংবাদকর্মী, দাফনকাজে নিয়োজিতরা।
প্রথম দফায় নিজে টিকা নিয়ে যেমন গর্বিত, তেমনি অপরকেও টিকা নেয়ার আহবান তাদের। প্রথম দিন ৩০ জন টিকা নেয়ার কথা থাকলেও শারীরিক জটিলতায় বাদ যায় ৪ জন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে সব ধরনের চিকিৎসা দেবে সরকার। টিকা নেয়া সবাই স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ লাইনে সংযুক্ত থাকবেন।
এছাড়া আগামীকাল থেকে বিএসএমএমইউ, ঢাকা মেডিকেল, মুগদা ও কুয়েত-মৈত্রী হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা দেয়া হবে। অ্যাপে যারা নিবন্ধন করতে পারবেন না তারা টিকাকেন্দ্রেও নিবন্ধন করে টিকা নিতে পারবেন। এদিকে আমদানী করা ৫০ লাখ টিকার ব্যবহারে চূড়ান্ত ছাড়পত্র দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সারা দেশে শুরু হবে করোনা টিকাদান কার্যক্রম।