ক্যাম্পাসের সবুজ শ্যামলিমা গত একটা বছরে যেন দ্বিগুন হয়েছে। পাখির কূজন, প্রকৃতির রূপ সবই যেন বেড়েছে। তবুও চারদিক ফাঁকা ফাঁকা। কারণ শিক্ষার্থী ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় যেন প্রাণহীন।
করোনার ছোবল থেকে বাঁচতে বন্ধ ছিল আবাসিক হল। শিক্ষার্থীদের ফিরে যেতে হয়েছে আপন আলয়ে। দোয়েল শালিক-চড়ুইয়ের খেয়ালীপনাও ঘোচাতে পারেনি এই প্রাঙ্গণের শূণ্যতা। স্মৃতির অ্যালবাম হয়ে টিকে আছে ধুলোমাখা বাইসাইকেল। কার্ণিশে ঝোলানো বই-খাতা-কাপড়।
ভ্যাকসিন আসার খবরে নড়েচড়ে বসেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষার্থীদের হলে ফেরানোর। তাইতো শুরু হয়েছে ঝাড়পোছের তোড়জোড়।
প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মার্চের তিন তারিখের ভেতরেই খুলবে ১৮টি আবাসিক হল। প্রথমে আনা হবে মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের। এরপর অনার্স শেষ বর্ষ। বাকিদের পরবর্তীতে। নজর থাকবে স্বাস্থ্যবিধি মানার কঠোরতায়ও।
আবাসিক হলে পর্যায়ক্রমে সব শিক্ষার্থী আসার পরে, ধীরে ধীরে ক্লাসরুমও পাঠদানে উন্মুক্ত করার পরিকল্পনার কথাও জানান প্রক্টর।