এসএসসির সনদ জালিয়াতি করে ২০০০ সালে নোয়াখালীর মাইজদী কলেজে ভর্তি হন কামরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি। এ ঘটনায় ২০০৩ সালে তার বিরুদ্ধে মামলা করে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো। ১০ বছর পর চার্জশিট দেয় দুদক। ১৫ বছরের সাজা হয় কামরুলের।
এ পর্যন্ত সব স্বাভাবিক মনে হলেও দুদকের ভুলে শাস্তির খড়গে নির্দোষ আরেক কামরুল।
ঘটনার শুরু আসামির ঠিকানা নিয়ে। প্রকৃত আসামি পশ্চিম রাজারামপুরে হলেও দুদক লেখে পূর্ব রাজারামপুর। যা বহাল রাখা হয় চার্জশিটেও। এতেই ফেঁসে যান পূর্ব রাজারামপুরের নির্দোষ কামরুল। প্রকৃত আসামি কামরুলের জন্ম ১৯৭৭ সালে আর নির্দোষ কামরুলের জন্ম ১৯৯০ সালে। দুদকের হিসাবে ৮ বছর বয়সে এসএসসি পাশ করেছেন নির্দোষ কামরুল।
এ ঘটনায় নির্দোষ কামরুল হাইকোর্টে রিট করেছেন। কেন তাকে হয়রানি করা হচ্ছে তার ব্যাখা চাওয়া হয় দুদকের কাছে। নির্দোষ ব্যক্তিকে এমন হয়রানির ঘটনায় ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট। ভুল স্বীকার করে আদালতে ক্ষমা চেয়েছে দুদক।
এ ঘটনায় আগামী বৃহস্পতিবার রায় দেবেন হাইকোর্ট। সেখানে নির্ধারিত হবে দুদক তদন্ত কর্মকর্তার শাস্তি।