দিনভর নিরুত্তাপ ভোটের পর রাতে হঠাৎই উত্তপ্ত সিরাজগঞ্জ শহর। বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হওয়ার পর নতুন ভাঙ্গাবাড়ি কেন্দ্র থেকে শহীদগঞ্জ কেন্দ্রে যান ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী তরিকুল ইসলাম। সেখানে তাকে ছুরিকাঘাত করে দুর্বৃত্তরা। পরে হাসপাতালে নিলেও বাঁচানো যায়নি তাকে। তরিকুলের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শহরের গুঁড়ের বাজার এলাকায় টায়ারে আগুন লাগিয়ে বিক্ষোভ করেন সমর্থকরা। এসময় পুলিশের সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।
ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ হয়েছে গাইবান্ধা শহরেও। ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব কোমরনই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গণনায় কারচুপির অভিযোগ এনে হামলা চালায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার ইসলামের সমর্থকরা। এসময় লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল ও ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে পুলিশ। পাল্টা জবাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর ও একটিতে আগুন দেয়া হয়।
বাগেরহাটের মোংলা বন্দর কওমি মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোট শুরুর পরই দুই কাউন্সিলর সমর্থকদের মধ্যে বাঁধে সংঘর্ষ। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া আর লাঠিপেটায় আহত হন অন্তত ১০ জন। পরে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন বিএনপির মেয়র প্রার্থীসহ ১৮ কাউন্সিলর প্রার্থী।
ফেনীর দাগনভূঞায় একটি কেন্দ্রে ককটেল বিস্ফোরণের পর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পাবনায় বিএনপির মেয়র প্রার্থীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। আর নানা অভিযোগ এনে গাজীপুর, কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর ও রাজশাহীর ভবানীগঞ্জে নির্বাচন বর্জন করেন বিএনপির মেয়র প্রার্থীরা।
নওগাঁর নজিরপুর ও মেহেরপুরের গাংনী পৌরসাভায় একজনের ভোট আরেকজন দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে ভোটের আগে বেশ উত্তাপ ছড়ালেও নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার আলোচিত বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচন ছিল শান্তিপূর্ণ।