হাড়ভাঙা পরিশ্রমে বারো মাসেই দেখা মিলে বাহারি রং আর নানান পুষ্টিকর খাবারের বিস্তীর্ণ ক্ষেত। কিন্তু কখনো কখনা কৃষকের এই স্বপ্নভরা ফসলগুলো হয়ে ওঠে দুস্বপ্নের। উৎপাদন খরচ তুরতে না পারলে প্রতিবাদ করেন ফসলগুলোকে রাস্তায় ফেলে। যদিও খোরপোষ কৃষিতে তারা জানেন না, তাদের উৎপাদিত ফসলের ব্যয়।
তবে আশার কথা হল, স্বাধীনতার পর এবারই প্রথম ১৪টি ফসলের উৎপাদন খরচ নির্ধারণ করেছে সরকার। যদিও ধানেরটা দেয়া অনেক আগে থেকেই।
এমন পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছে কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু উৎপাদন খরচ নয়, নির্ধারণ করতে হবে বিক্রয়মূল্য। কৃষকরা এর চেয়ে কম দাম পেলে সরকার কি পদক্ষেপ নিবে তারও ঘোষণা থাকা উচিত।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের সিদ্ধান্ত মোতাবেক, চলতি বছর আলোচিত পেঁয়াজের কেজিতে উৎপাদন খরচ ১৯ টাকা ২৪ পয়সা। রসুনের ৩০ টাকা ৮৭ পয়সা, মরিচ ১৯ টাকা, সরিষা ৩৩ টাকা ৮৪ পয়সা, মসুর ৪০ টাকা ৩২ পয়সা।
এদিকে এক বিপণন বিশেষজ্ঞ বলছেন, যোগান এবং চাহিদার বিষয়টি নিশ্চিত করতে না পারলে সরকারের এমন পদক্ষেপ কার্যকর হবে না।
তবে ধারাবাহিকভাবে সবকিছুই হবে বলে আশা কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্তার।