শুক্রবার সকালে ৭৬ বছর বয়সে সকলকে কাদিয়ে প্রস্থান হলো এই কিংবদন্তির। রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে অবসান হয় বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের একটি অধ্যায়ের। বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দীর্ঘদিন ধরেই ভুগছিলেন ক্যান্সার, হার্টের ও বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতা নিয়ে। মাঝে ভর্তি ছিলে হাসপাতালে। শেষ মুহুর্তে আশা জাগিয়েও পরাজয় মেনে নেন মৃত্যুর কাছে।
মধ্যবিত্তের বাঙালির জীবনে হয়তো তিনি থাকবেন বড় চাচা হিসেবেই। আলী জাকেরের মেধা-মনন আর সাংস্কৃতিক কর্মের বিচরণ ছিল বড় থেকে ছোট পর্দা, মঞ্চ থেকে টিভিতে, এমনকি তার ছোয়া দেখা যায় বহুজাতিক বিজ্ঞাপন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এশিয়াটিকেও।
১৯৪৪ সালের ৬ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জন্ম হয় আলী জাকেরের। ১৯৭২ সালে আরণ্যক নাট্যদলের কবর দিয়ে হাতে খড়ি হয় অভিনয়ের। পরের বছর চলে যান, নাগরিক নাট্যসম্প্রদায়ে। মঞ্চের পাশাপাশি সমান উজ্জ্বল ছিলেন টিভি নাটকে। অভিনেত্রী স্ত্রী সারা যাকেরকে নিয়ে গড়ে তোলেন, দেশের বৃহৎ বিজ্ঞাপনী সংস্থা। আজ রবিবার, বহুব্রীহি, তথাপি, পাথর দেয়াসহ বহু নাটক, চলচিত্রে অভিয়ন করেছেন আলী জাকের। একুশে পদক, বঙ্গবন্ধু পুরস্কার, মুনীর চৌধুরী পদকসহ নরেন বিশ্বাস পদক অর্জন করেন আলী জাকের।