ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের পক্ষ থেকে গত সেপ্টেম্বরে হাইকোর্টকে জানানো হয় গ্রাহকের টাকা ফেরত দিতে দেশে ফিরতে চান পি কে হালদার। বিষয়টির শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট বলেন, যদি পি কে হালদার কবে ফিরবেন, তা লিখিত ও টিকিটের তারিখ উল্লেখ করেন তাহলেই তাকে দেশে ফিরতে দেবেন আদালত।
টিকিট অনুযায়ী এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে রোববার (২৫ অক্টোবর) সকাল ৮ টা ১০ মিনিটে ঢাকায় আসার কথা ছিলো পিকে হালদারের।
২১ অক্টোবর হাইকোর্ট জানায়, দেশে ফেরা মাত্র গ্রেপ্তার হবেন পিকে হালদার।
কিন্তু শনিবার দুপুরের পর পিকে হালদারের আইনজীবী দুদক ও অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়কে জানিয়েছে, আমি (পি কে হালদার) শারীরিকভাবে অসুস্থ। যেগুলো করোনার লক্ষনের সাথে মিলে যায়। এমতাবস্থায় ভ্রমন করা সম্ভব নয়। পরর্ব্তীতে কবে ফিরবো তা আইনজীবীর মাধ্যমে জানাবো।
প্রশান্ত কুমার হালদার ব্যাংক পাড়ায় যিনি পরিচিত পি কে হালদার নামে। শুধু নিজ প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকেই ১৫শ' কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। গণমাধ্যমে একের পর এক অনিয়মের ফরদ প্রকাশের পর থেকেই লাপাত্ত পিকে হালদার। বলা হচ্ছে, তল্পিতল্পা গুটিয়ে কানাডায় পাড়ি জমিয়েছেন বেশ আগেই। পিপলস লিজিংসহ একাধিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে।