লেখাটিতে তিনি চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ ও চিরগতিশীল অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের গভীরতা এবং সম্ভাবনাসমূহ তুলে ধরেন।
নিবন্ধে, পরিবহন, বিদ্যুৎ, হাই-টেকনোলজি এবং অন্যান্য কার্যকরি ক্ষেত্রে চীন-অর্থায়িত প্রধান অবকাঠামোগত প্রকল্পগুলোকে সহযোগিতার ভিত্তি হিসাবে উপস্থাপন করে জনাব ঝেনহুয়া দেখিয়েছেন যে কীভাবে চীন বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের অনূকুলে সেবা প্রদান করে যাচ্ছে।
২০১৮ সালের অর্থবছর এবং এর পর পর তিনটি অর্থবছরের জন্য চীন থেকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের মোট প্রবাহ বাংলাদেশের সকল এফডিআই উৎসের মধ্যে প্রথম অবস্থানে রয়েছে-এ তথ্যটি উল্লেখ করে তিনি বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ক্ষেত্রে চীন-বাংলাদেশ সহযোগিতা আরও প্রসারিত ও গভীর হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে নিবন্ধে মন্তব্য করেন। বিশেষত তিনি উল্লেখ করেন যে ১ জুলাই, ২০২০ থেকে বাংলাদেশে উৎপাদিত ৯৭% কর সামগ্রীর উপর চীন শূন্য হারে অগ্রাধিকারমূলক শুল্ক মঞ্জুর করেছে যা বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা হ্রাস করতে এবং অতিমারী পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তা করবে।
এর পরে, তিনি বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলাদেশে মানবসম্পদ উন্নয়নে চীনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন এবং উল্লেখ করেন যে দেশটি অতিমারীকালীন সময়ে বাংলাদেশীদের জন্য ভার্চুয়াল প্রশিক্ষণ পরিচালনার সম্ভাবনাটির বিষয়ে ভেবে দেখছে।
পরিশেষে, জনাব ঝেনহুয়া অর্থনীতি, প্রযুক্তি, জলবায়ু পরিবর্তন, দারিদ্র্য হ্রাস, জনস্বাস্থ্য, মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং এর মতো অন্যান্য ক্ষেত্রে দু'দেশের মধ্যে সহযোগিতার অসীম সম্ভাবনা উপলব্ধি করে টেকসই উন্নয়ন অর্জনে চীনের বাংলাদেশের জনগণের পাশে দৃঢ় ভাবে দাঁড়ানোর এবং দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা আরো উঁচু স্তরে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।