করোনার অদৃশ্য ছোবলের দুঃসময়ে আম্পানের দৃশ্যমান তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড দেশের দক্ষিণাঞ্চল। ডুবেছে ফসলের মাঠ, ডুবেছে বসতভিটা, ভেসে গেছে তিল তিল করে জমানো সম্পদ।
১'শ ৬০ কিলোমিটার গতিবেগের আম্পান নিমিষেই যেনো জীবনকে করে তুলেছে ভাসমান। এই যেমন মধ্যবয়সী হুমায়ুন কবীর। প্রতিবার যে বাঁধ ভেঙে দেয় ঘর, দিয়েছে এবারও, ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙলেও একবুক হতাশা নিয়ে বসে আছেন সেই ভাঙা বাঁধেই।
শুধু একজন হুমায়ুন কবীর কিংবা একটি গ্রাম নয় জলে ডোবা দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় প্রতিটি গ্রামের চিত্রই এখন চোখের নোনাজল কান্নায়। ঝড় যেখানে কেড়ে নিয়েছে মানুষের প্রাণ, কেড়ে নিয়েছে অর্থনীতি আর বেঁচে থাকার এক টুকরো অবলম্বনও।
নৌকা নিয়ে যেতে চাই ভাসমান মানুষের কাছে জানতে চাই হারানোর এমন মিছিলে, হারাবার কি আছে কিছু বাকি ? চাওয়াটাইবা কি আর পাওয়ার সমীকরনইবা কতোটুকু?
অনাহারে অর্ধাহারে কাটানো জীবনে এখন ঠাঁই বলতে নৌকার পাটাতন নয়তো ভেঙে যাওয়া বাঁধ, আর ডুবতে ডুবতে জেগে থাকা একটিমাত্র সড়ক। তবে সেই পথ জুড়েও তো দেখা নেই কারো আসছে না কোনো সহায়তা।
শূণ্যতা ছেঁয়ে থাকা হৃদয়ে স্লোগানটা তাই এসো নিজেরাই করি। এছাড়া আর উপায়ইবা কি?
তবে চলছে সেনাবাহিনীর রেকি, সাথে তৎপর জেলা পরিষদও। বলছেন দ্রুতই শুরু হবে বাঁধের সংস্কার কাজ। এই দুঃসময়ে ত্রাণ নয় সবারই চাওয়া একটি বাঁধ এর যাতে ভেসে যাবে না ঘর, বরং বাঁধবে আরও মজবুত করে।