আওয়ামী লীগ এ দফায় নির্বাচিত হওয়ার পর কোন ইস্যুকেই কাজে লাগিয়ে সেভাবে রাজনীতির মাঠ গরম করতে পারেনি বিএনপি। শুধু ২০১৫'র ৫ জানুয়ারিকে কেন্দ্র করে ডাকা টানা ৯২ দিনের অবরোধ ছাড়া আন্দোলনের মাঠে কোনঠাসাই থেকেছে বিএনপি।
দলীয় চেয়াপার্সনের মুক্তির জন্য নানা সময়ে নানাভাবে এগোনোর চেষ্টা করেছে বিএনপি। এবিষয়ে সরকারি দল বলছে, আন্দোলনের নামে জ্বালাও পোড়াও বাদ দিয়ে আপসের পতে হাঁটাই প্রমাণ করে, অতীতে জ্বালাও পোড়াওয়ের ভুল স্বীকার করে নিয়েছে বিএনপি।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষোদের সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, খালেদা জিয়া একজন আসামি এবং এটা সর্বজন গৃহীত। কোর্টে যেখানে আইনি লড়াই চলছে সেখানে আন্দোলনের কথা বলা মানে সরাসরি জুডিসিয়ারিকে চ্যালেঞ্জ করার মত।
ক্ষমতাসীনরা বলছেন, গত নির্বাচনের পর থেকেই বিএনপির শান্তিপূর্ণ রাজনীতির উদ্যোগ নেয়া উচিৎ ছিল। মানুষের প্রত্যাশাও ছিল সেরকম। কিন্তু তারা কোন দিনই সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারেনি।
বিএনপিকে আমরা বলবো তাঁদের রাজনৈতিক ধারা পরিবর্তন করার জন্যে। তাঁরা যদি তাঁদের পথ ঠিক না করে, তাঁদের আদর্শ যদি সঠিকভাবে ন্নির্ধারণ না করে তবে তাঁরা বিরোধী দল হিসেবে বেশিদিন টিকবে না।
আওয়ামী লীগ মনে করে, বিএনপি যদি সত্যিই অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে জ্বালাও পোড়াও এর আন্দোলন বর্জন করে তবে এদেশ থেকে বিদায় নেবে সংঘাতের রাজনীতি।