আর বিশেষজ্ঞ এবং রোহিঙ্গাদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনের নেতারা বলছেন, এই আদেশের ফলে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়বে। সেইসাথে সহজ হবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন।
আন্তর্জাতিক আদালতের এই আদেশে সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী তানজীব উল আলম ও খুরশীদ আলম খান মনে করেন, এটি মানবতার জন্য বড় জয়।
রোহিঙ্গাদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন ও মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, এ আদেশের ফলে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ আরও বাড়বে।
আইনজীবী, বিশেষজ্ঞ ও এনজিওকর্মীদের মতে, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের এই আদেশ প্রমাণ করে, কোনো রাষ্ট্রই বিচারের ঊর্ধ্বে নয়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে ধোপে টিকলো না মিয়ানমারের দাবি। রোহিঙ্গা গণহত্যার দায়ে দেশটির বিরুদ্ধে সর্বসম্মতিক্রমে ৪টি অন্তর্বর্তী আদেশ দিয়েছেন আদালত। গাম্বিয়ার মামলায় আজ এ আদেশ দেয়া হয়। আদালত জানান, রাখাইনে বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে সু চি প্রশাসন। মিয়ানমারকে তাগিদ দেন জেনোসাইড কনভেনশন মেনে চলার।
বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় আদেশ ঘোষণার শুরুতে বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত-আইসিজের প্রেসিডেন্ট বিচারপতি আবদুলকোয়াই আহমেদ ইউসুফ।
আইসিজে জানান, রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব ও ভোটদানের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার বিষয়টি আদালতের নজরে এসেছে। বলেন, নিপীড়নে জড়িত সেনাদের বিচার করতে হবে। পরে, মিয়ানমারে থাকা রোহিঙ্গাদের সুরক্ষায় সর্বসম্মতিক্রমে ৪টি অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন আদালত। ৪ মাসের মধ্যে আদেশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানাতে হবে মিয়ানমারকে।
৪টি অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ-
১. রোহিঙ্গাদের হত্যা, মানসিক-শারীরিক নিপীড়ন ও ইচ্ছাকৃত আঘাত করা যাবে না। জন্ম নিয়ন্ত্রণে বিধি-নিষেধ আরোপ করা যাবে না।
২. গণহত্যা, গণহত্যার প্রচেষ্টা বা ষড়যন্ত্র না করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ।
৩. গণহত্যার যেসব তথ্য-প্রমাণ রয়েছে তা ধ্বংস করা যাবে না।
৪. মিয়ানমার কী ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে তা অবশ্যই ৪ মাসের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে হবে। চূড়ান্ত সিদ্বান্তর আগ পর্যস্ত ৬ মাস পরপর প্রতিবেদন দিতে হবে।