প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সশস্ত্র বাহিনীকে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে কাজ চলছে। এর জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। আলাদা ইনস্টিটিউট, একাডেমি ও বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে।
তিনি এসময় সশস্ত্র বাহিনীকে সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান।
সেনা সদস্যদের কাজের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগও সেনা সদস্যরা বুক চিতিয়ে মোকাবিলা করছেন। দেশের শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার পাশাপাশি বিভিন্ন দেশে শান্তিরক্ষা মিশনেও আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা প্রশংসা পেয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সিলেট, কক্সবাজারের রামু ও বরিশালে পৃথক তিনটি পদাতিক ডিভিশন গড়ে তোলা হয়েছে। বিস্তীর্ণ সমুদ্রসীমা ব্যবহারে নৌবাহিনী কাজ করছে। দেশে তাদের যুদ্ধজাহাজ বানানোর কাজ চলছে। বিমানবাহিনীর জন্য বিভিন্ন উন্নত উপকরণ সংগ্রহ করা হচ্ছে। প্রযুক্তি ও আধুনিক উপকরণের মাধ্যমে প্রতিটি বাহিনীকে যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে আলাদা ইনস্টিটিউট, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে।
রণাঙ্গন ১৯৭১। নভেম্বর মাস। মুক্তি বাহিনীর আক্রমণে এরইমধ্য পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বেশ বেকায়দায়। এমন সময় ২১ নভেম্বর সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী সমন্বিতভাবে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শুরু করে। যুদ্ধ পায় ভিন্নমাত্রা।
সেদিনের স্মরণে প্রতিবছর দিনটিকে পালন করা হয় সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে।
বিকেলে সেনাকুঞ্জে সংবর্ধনায় যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী।
পরে সশস্ত্র বাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা, বিদেশি কূটনীতিক, রাজনৈতিক নেতাসহ আমন্ত্রিত অতিথিদের সাথে কুশল বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে সকালে দিবসটির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়, ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বানে রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের শুভেচ্ছা জানানোর মধ্য দিয়ে।
দিনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বানে রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের শুভেচ্ছা জানানোর মধ্য দিয়ে। শুরুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফুলেল শুভেচ্ছায় স্মরণ করে মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী সশস্ত্র বাহিনীর সদ্স্যদের। পরে শ্রদ্ধা জানান তিন বাহিনীর প্রধান।
পরে প্রধানমন্ত্রী যান আর্মি মালটিপারপাস কমপ্লেক্স। এসময় ৭ বীরশ্রেষ্ঠ সহ খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদ্স্যদের হাতে তুলে দেন সম্মানীর চেক ও উপহার। ২৬ জনকে দেন বাহিনী ও অসামান্য সেবা পদক।