পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের ক্ষেত্রে বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে ২১ বছর এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা- ৮ম শ্রেণী পাস। নতুন এই আইনে চালকের লাইসেন্সের ক্ষেত্রে পয়েন্ট সিস্টেমের কথা বলা হয়েছে। চালকের লাইসেন্সের বিপরীতে মোট ১২ পয়েন্ট বরাদ্দ থাকবে।
লাল বাতি অমান্য করা, গতিসীমা ও ওজনসীমা লঙ্ঘন, বেপরোয়া ও বিপজ্জনকভাবে গড়ী চালানো, নিষিদ্ধ স্থানে ওভারটেকিং, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় চালানো, গাড়ী চালানো অবস্থায় মোবাইল ফোন ব্যবহার কিংবা বিধি দ্বারা নির্ধারিত নিয়ম অমান্য করলে, একে একে এই ১২ পয়েন্ট কাটা যাবে। কোন চালক ১২ পয়েন্ট খোয়ালে তার লোইসেন্স বাতিল হবে।
তবে এই নিয়ম চালু হবে কবেতা জানাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, 'পয়েন্ট সিস্টেম হলে আপনারা জানেন যে ড্রাইভিং লাইন্সেসটা যদি ডিজিটাল হয়, সেখানে যদি একটা বার কোড থাকে, সেটা রিড করার জন্য নিদিষ্ট মেশিন লাগবে আমার মনে হয়। সেই মেশিনে লাইন্সেস ঢোকালে এটার স্ট্যাটাস কি, এটার কত পয়েন্ট আছে আবার পয়েন্ট কাটতে হলেও সফটওয়ারের মাধ্যমেই কম্পিউটার ব্যবহার করে কাটতে হবে। এই জিনিসগুলো নিয়ে আমার মনে হয় আরো স্টাডি করার প্রয়োজন আছে। এটা হয়তো বিআরটিএ আরো ভাল বলতে পারবে।'
বিআরটিএ পরিচালক (রোড সেফটি) শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রব্বানী বলেন, 'আমাদের যে ড্রাইভিং লাইন্সেস এটা ইউরোপীয়ান টেকনোলজিতে তৈরি করা। এবং আমাদের কম্পিউটারের সিস্টেমে এই জিনিস টা অন্তভুক্ত করা বা সমন্বয় করা খুব একটা জটিল কোন বিষয় না।'
নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, 'যতটা পারা যায় যে জায়গাগুলোতে অসুবিধা আছে সে জায়গাগুলো না করলেও যেগুলো সুবিধা আছে সেগুলো যদিএ রিক্রুট করা যায় তাহলে অন্তত সাধারণ মানুষের মধ্য সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে যে সরকার আইন করছে এবং সেটা বাস্তবায়ন হচ্ছে।'
সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে এই পদ্ধতি দ্রুত বাস্তবায়ন দরকার বলছেন আন্দোলন কর্মীরা।