হাতিরঝিল প্রকল্প। রাজধানীর জলাশয় রক্ষা ও পরিবেশ রক্ষার নতুল লাইফলাইন। কিন্তু, পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ভবন বাধাগ্রস্ত করে লেকটির গতিপথ। খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভবনটিকে হাতিরঝিলের বিষফোঁড়া বলে মন্তব্য করেছিলেন।
২০১১ সালের ৩ এপ্রিল হাইকোর্টও এক রায়ে বিজিএমইএ ভবনকে হাতিরঝিলের ক্যান্সার উল্লেখ করে ৯০দিনের মধ্যে ভাঙ্গার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু, তারপর কেটে যায় ৫ বছর। ২০১৬ সালে ফের বিজিএমইএর লিভ টু আপিল খারিজ হয়। তবুও ভবন রয়ে যায় অক্ষত।
সবশেষ গেলো বছর আবারো এক বছর সময় চায় সংগঠনটি। কিন্তু, উচ্চ আদালত থেকে নতুন কোনো স্থগিতাদেশ না আসায়, মঙ্গলবার ভবনটি ভাঙ্গার প্রক্রিয়া শুরু করলো রাজউক।
বিচ্ছিন্ন করা হয় ভবনিটর গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি ও টেলিফোন সংযোগ। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালামাল সরাতে সময় দেয়া হয় সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত।
রাজউক কর্মকর্তা জানান, নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ পদ্ধতি ব্যবহার করে ভেঙ্গে ফেলা হবে ১৬ তলা এই ভবন।
এতোদিন ভবন রক্ষায় মনোযোগী হলেও, অবৈধ ভবনের বিরুদ্ধে চলামান অভিযানের এই প্রেক্ষাপটে, এবার বিজিএমইএ ভবন ভাঙ্গার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন তৈরী পোশাকখাতের ব্যবসায়ী নেতারা।
তারা বলছেন, জরুরী বেশকিছু কাজকর্মের জন্য কারওয়ান বাজারে বিজিএমইএ এর একটি শাখা অফিস প্রয়োজন রয়েছে।