ডাকসুর সাহিত্য সম্পাদক মাজহারুল কবির শয়নের সঞ্চালনায় বৈঠকি ঢঙের এই আড্ডার প্রথমেই নিজের গল্প শোনান কিঙ্কর আহ্সান। বলেন, ‘মধ্যবিত্ত জীবনের নানা অভিজ্ঞতাই আমার লেখক হওয়ার প্রেরণা। জঙ্গিবাদসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ড থেকে তরুণদের দূরে রাখতে সর্বস্তরে বই ও সৃজনশীল কার্যক্রম বৃদ্ধি করা দরকার। তাহলেই পৃথিবী একদিন বইয়ের হবে।’
লেখক সাদত হোসাইন বলেন, ‘সম্পর্কের সংকট ও সংযোগ নিয়ে দীর্ঘ পরিসরে আমার যে ভাবনা তা উঠে এসেছে আমার সাম্প্রতিক উপন্যাসে। বর্তমান সময়ের তরুণেরা ইউটিউবার, অভিনেতা, এমনকি গানের শিল্পিদের চিনলেও লেখকদের সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা নেই। কেননা, সমাজে পাঠাভ্যাসহীন একটা বিপুল শ্রেনী গড়ে উঠছে।’
ঔপনাস্যিক আবদুল্লাহ আল ইমরান বলেন, ‘এক জীবনের বাইরেও যে আরও অসংখ্য জীবন আছে তা জানতে বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই। নদী পাড়ের পাটকল শ্রমিক এলাকায় বেড়ে ওঠায় প্রান্তিক মানুষের জীবন ও গল্প আমাকে টানে। সেসব গল্পই তুলে আনি উপন্যাসে। সর্বশেষ উপন্যাস চন্দ্রলেখায়ও দুই নারীর সংগ্রাম এবং তাদের ঘিরে আরও কিছু জটিল মানুষের গল্প বলেছি।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাহিত্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক প্রীতম চক্রবর্তী এবং সংগঠনের তিন তরুণ লেখক অসিত দেবনাথ অন্তু, তৈমুর রহমান মৃধা ও তানি তামান্না শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। শেষে অতিথিদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন ডাকসুর সদস্য রাকিবুল হাসান ঐহিত্য, মাহমুদুল হাসান ও রাইসা নাসের।