গেল বছর বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস পাল্টে দেয় মসজিদুল হারামের চেনা দৃশ্য। ২০২০ সালের ২৯ জানুয়ারী মধ্যপ্রাচ্যে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়, সংযুক্ত আরব আমিরাতে। দেড় মাসের ব্যবধানে ছড়িয়ে পড়ে, ওই অঞ্চলের ১৬ দেশে। বিপাকে পড়ে কুয়েত, কাতার, ইরানসহ সবগুলো দেশ। ৩ দফা লকডাউনে ৯০ দিনের বেশি অচলাস্থায় থাকে সৌদি আরব। দেশটিতে প্রথম ৬ হাজার প্রাণহানির হাজারখানেকই ছিলেন, বাংলাদেশি প্রবাসী। অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে মধ্যপ্রাচ্য ছাড়তে বাধ্য হন, লাখো প্রবাসী শ্রমিক।
গত ডিসেম্বর উপসাগরীয় দেশ সৌদি, কুয়েতসহ ৪ দেশে শুরু হয় গণটিকাদান কার্যক্রম। নানা দোলাচলের মাঝেই ফাইজার আর সিনোফার্মার টিকায় ভরসা করে দেশগুলো। কিন্তু টিকা প্রাপ্তির দৌড়ে পিছিয়ে পড়ে যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইয়েমেন ও সিরিয়া। পশ্চিমা টিকায় ভরসা নেই জানালেও, শেষমেশ রাশিয়ার টিকা স্পুটনিক প্রয়োগের অনুমোদন দেয়, ইরান।
অন্যদেশগুলোর তুলনায়, দেরিতে প্রকোপ বাড়লেও; এখন সবচেয়ে বিপাকে রয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকা। করোনা নতুন ধরন আটকাতে পারছে না, টিকার সুরক্ষাও। প্রাহানি ছাড়িয়েছে, ৫০ হাজার। এমন পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক মন্দার কবলে রয়েছে, দেশটি।
মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন-এফডিএর অনুমোদনের আগেই, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা প্রয়োগ শুরু করেছে, দক্ষিণ আফ্রিকা। লক্ষ্য, এ বছরের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশ জনগণকে টিকা দেয়া।
এবার নজর দেয়া যাক, লাতিক আমেরিকার দিকে। গেল বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি শনাক্তের পর ব্রাজিলে প্রাণহানি ছাড়িয়েছে, ২ লাখ ৬৫ হাজার। এর মাঝে গত ২০ ডিসেম্বর থেকে করোনার নতুন ধরনের ছোবলে পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করেছে। এতে গত ১৮ জানুয়ারি থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড ও চীনের সিনোভ্যাকের টিকা প্রয়োগ শুরু করেছে, দেশটি।