জনবিক্ষোভে পুলিশি নির্মমতায় এ পর্যন্ত ৩ জনের মৃত্যুতে ক্ষোভে ফুঁসছে মিয়ানমারের গণতন্ত্রকামীরা। যার নাম দেয়া হয়েছে স্প্রিং রেভুলেশন বা বসন্ত বিপ্লব।
বিক্ষোভ প্রতিহত করতে নয়া ফরমান জারি করে জান্তা সরকার। তবে, রাজপথে নামলেই প্রাণনাশের হুমকি উপেক্ষা করেই চলছে প্রতিবাদ। সাঁজোয়া যান ও দাঙ্গা পুলিশের কড়া প্রহরার মধ্যেই ইয়াঙ্গুনে মার্কিন দূতাবাসের সামনের সড়ক অবরোধ করা হয়।
অসহযোগ আন্দোলন সমর্থনে শাটার টেনে দেয়া হয় ইয়াঙ্গুন-নেপিদোসহ বিভিন্ন শহরের দোকান-পাটে। টানিয়ে দেয়া হয় নোটিশ। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
এক গণতন্ত্রকামী বলছেন, 'দেশজুড়ে সর্বাত্মক ধর্মঘটে সমর্থন জানিয়েই আমি আমার দোকান বন্ধ রেখেছি। অবিলম্বে জান্তা সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে হবে।'
আরেকজন বলছেন, 'কোনো স্বৈরশাসক চাই না আমরা। জয়ী না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরবো না। দরকার হলে প্রতিদিনই রাজপথে নামবো।'
বিক্ষোভ দমনে বলপ্রয়োগে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, প্রয়োজনে বার্মিজ বাহিনীর ওপর আরো কড়া অবরোধ আরোপ করা হবে। পুলিশের নিন্দায় সরব যুক্তরাজ্য, জার্মানি, জাপান ও সিঙ্গাপুর। সব বন্দির নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
মহাসচিব বলেন, 'অবিলম্বে দমন-পীড়ন ও সহিংসতা বন্ধ, বন্দিদের মুক্তি ও নভেম্বরের নির্বাচনে দেয়া জনরায়ের প্রতি সম্মান জানাতে সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আধুনিক পৃথিবীতে এভাবে সেনা অভ্যুত্থানের কোনো স্থান নেই।'
মিয়ানমার এসিসট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স বলছে, গেল ৩ সপ্তাহে রাজনীতিক, মানবাধিকার ও সংস্কৃতিকর্মীসহ গ্রেপ্তার হয়েছেন সাড়ে ৬শ' জন।