রাজধানীর রাইসিনা হিলে কুচকাওয়াজে শ্রদ্ধা গ্রহণে যখন ব্যস্ত প্রধানমন্ত্রী মোদি। সেসময় বিভিন্ন রাজ্যের কৃষকরা ট্রাক্টর নিয়ে রওনা হয়েছেন লালকেল্লা অভিমুখে।
পুলিশের নির্দেশনা ছিলো দুপুর ১২ টা নাগাদ কৃষক শোভাযাত্রা নির্দিষ্ট ৩ টি রুটে গিয়ে ফের উৎসবস্থলে ফিরে আসবে। এসবের কিছুই তোয়াক্কা করেননি আন্দোলকারীরা।
পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে একদল কৃষক ঢুকে পড়ে লালকেল্লায়। নিজেদের সংগঠনের পতাকা টঙিয়ে দেয়া হয় কেল্লায়। বেলা বাড়ার সঙ্গেই সহিংস রুপ নেয় কৃষকদের প্রজাতন্ত্র র্যালী।
পুলিশ-কৃষক সংঘর্ষ বাধে দিল্লির আইটিও চত্বর, নাংলোই এলাকায়। কৃষকদের অভিযোগ, দীনদয়াল মার্গে ঢোকার পথে তাদের গতিরোধ করা হয়। এখানে গুলিতে মারা যান আন্দোলনকারী।
এক আন্দোলনকারী বলেন, 'শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করছিলাম। হঠাৎ করেই পুলিশ আমাদের উপর টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে, লাঠিচার্জও করেছে।'
আরেক আন্দোলনকারীর ক্ষোভ 'প্রধানমন্ত্রী, এটা কৃষকদের রাষ্ট্র। আমাদের কথা শুনতে হবে। জোর করে আমাদের ওপর কোনো আইন চাপিয়ে দেয়া যাবে না।'
সহিংসতার পর, সিন্ধু, গাজিপুর, টিকরি, মুকার্বা চক, নাঙ্গলোই এলাকায় সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয় ইন্টারনেট। কৃষকদের শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতারাও।
বিতর্কিত ৩ কৃষি আইনের বিরুদ্ধে ৩ মাস ধরেই উত্তপ্ত ভারত। কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে ১১ দফা বৈঠকের পরও মেলেনি সমাধান।