রাজনীতির নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে-ই আজকের জো বাইডেন। শপথ গ্রহণের সমত তিনি বলেন, প্রিয় আমেরিকাবাসী, আজ গণতন্ত্র সুসংহত। করোনা ৪ লাখ মার্কিনীর প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে কঠিন মুহুর্তে আমরা। কথা দিচ্ছি মার্কিন মূল্যবোধ ও সংবিধান সম্মুনত রাখতে কাজ করে যাবো।
এর আগে বাইডেন তার জন্মভুমি ডেলওয়্যার ছেড়ে ওয়াশিংটনে আসেন। সেসময় বিদায়ী ভাষণে দেয়ার সময় বেশ কয়েকবার অশ্রুসিক্ত কন্ঠে বাকরুদ্ধ হয়ে পরেন বাইডেন।
বরাবরের মত এবার প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানে ক্যাপিটল হিলে জনসমাগম দেখা যাবে না। শতবছরের রেকর্ড ভেঙ্গে এবার শপথ অনুষ্ঠানে থাকছেন না প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার পরিবার।
স্থানীয় সময় সকালে ৮ টা ৪৫ মিনিটে বাইডেন এবং হ্যারিস তাদের চার্চে পার্থনার মধ্য দিয়ে দিন শুরু করবেন। আর অন্যদিকে সকাল আটটায় ফ্লোরিডায় যাওয়ার আগে বিদায়ী অনুষ্ঠান করবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে দশটায় বাইডেন এবং হ্যারিস ক্যাপিটল হিলে যাবেন। আর এগারটার দিকে দেশটির পার্লামেন্ট ভবন ক্যাপিটল হিলে শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান শুরু হবে। আর বেলা বারোটার আগে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের শপথ নেয়ার কথা।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সোনিয়া সোতোমেয়র তাকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন। এরপর প্রথা অনুযায়ী দুপুরের দিকে ক্যাপিটল হিলের পশ্চিম তীরে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শপথ নিবেন এবং স্বাগত বক্তব্য দিবেন। এরপর ১৫ নম্বর স্ট্রিট থেকে হোয়াইট পর্যন্ত বাইডেনকে মিলিটারি এসকোর্ট দেয়া হবে।
আমন্ত্রন জানানো হয়েছে প্রায় ১ হাজার অতিথিকে। বাডেনের শপথ অনুষ্ঠানে জাতীয় সংগীত গান বিখ্যাত পপ তারকা লেডি গাগা।
করোনার কারণে এবার অভিষেক অনুষ্ঠানে বড় ধরনের সামাজিক সমাগম না থাকলেও বুধবার রাতে সেলিব্রেটিং আমেরিকা নামে বিশেষ টেলিভিশন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। অংশ নিবেন বাইডেন এবং কমলা হ্যারিস। যার সঞ্চালক থাকবে টম হ্যাঙ্কস।
নিরাপত্তার ঘেরাটোপে গোটা ওয়াশিংটন ডিসি। বুধবার ক্ষমতা গ্রহনের পরই ১৫ টি নির্বাহী আদেশে সই করবেন নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।