করোনা মহামারী, রেকর্ড বেকারত্ব আর বিভাজিত মার্কিনীদের দায়িত্ব এখন জো বাইডেনের কাঁধে।
হোয়াইট হাউজে তার প্রথম দিনেই ট্রাম্পের বিচ্ছিন্নতার আমেরিকা ফার্স্ট নীতি থেকে সরে আসবেন নতুন প্রেসিডেন্ট। মিত্রদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের পাশাপাশি অভিবাসী বান্ধব নীতিতে ফিরবে নতুন প্রশাসন। বিশ্লেষকরা বলছেন হারানো বিশ্ব নেতৃত্বের আসন পুনরুদ্ধারের চেষ্টা থাকবে বাইডেনের। মার্কিনিদের মাঝে ঐক্য ফিরিয়ে আনার চ্যালেঞ্জ ৪৬ তম এ মার্কিন প্রেসিডেন্টের সামনে।
বাইডেনের নীতিসমূহ:
► ৭ মুসলিম দেশের নাগরিকদের প্রবেশে অনুমতি
► ১ কোটি ১০ লাখ অভিবাসীকে নাগরিকত্ব প্রদান
► প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে ফেরা
► টিপিপি ও ইরানের পরমাণু চুক্তিতে ফেরা
রাজনৈতিক বিশ্লেষক বারবারা পেরি বলেন, এরআগে লিংকন আর ফ্রাঙ্কলিনই এমন পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন। ট্রাম্প মার্কিনিদের মধ্যে বিশাল এক বিভক্তির দেয়াল তৈরি করে দিয়েছেন। শান্তি এবং ঐক্য ফিরানোই কঠিন হবে বাইডেনের জন্য।
নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব নেয়ায় সাথেসাথে বদলে যায় মধ্যপ্রাচ্যের সমীকরণও।
আরবলীগের মহাসচিব আহমেদ আবুল ঘেইত বলেন, নতুন প্রশাসনের কাছে প্রত্যাশা, মধ্যপ্রাচ্যে ট্রাম্পের ভুল নীতিগুলো থেকে সরে আসবেন তারা। বাইডেনের দিকে তাকিয়ে নিপীড়িত ফিলিস্তিনিরা। আশা করছি, দুই রাষ্ট্র নীতি কার্যকর করবেন তিনি।
তবে, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা থেকে শুরু করে বাইডেন প্রশাসনের পররাষ্ট্র আর মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক কর্তাদের তালিকায় নিয়োগ পেয়েছেন, ওবামা আমলের যুদ্ধের কারিগররা। তাই অনেক বিশ্লেষকের শঙ্কা, বাইডেন আমলে ফের যুদ্ধের নীতিতে ফিরতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।