কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি। শপথস্থলের সীমানাপ্রাচীরের ওপর নতুন করে বসছে কাঁটাতারের বেড়া।
নিরাপত্তা জোরদারে বেশ কয়েকদিন আগেই মোতায়েন করা হয়েছে ন্যাশনাল গার্ড। যাদের সংখ্যা এখন ২৬ হাজার। অনলাইনে আগামী ২০ জানুয়ারি রাজ্যে-রাজ্যে সশস্ত্র বিক্ষোভের ডাক দেয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে এফবিআই। আটক করা হয়েছে হাউজ স্পিকার পেলোসির দপ্তর ভাঙচুরে আহবান জানানো দুই ট্রাম্প সমর্থককে।
এফবিআই পরিচালক ক্রিস রে বলেন, 'বিক্ষোভকারীদের গতিবিধি নিয়মিত ট্র্যাক করা হচ্ছে। কোনো ধরনের হুমকি পাওয়া মাত্রই, যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। ক্যাপিটল হিলের তাণ্ডবের ঘটনায় গ্রেপ্তার ছাড়িয়েছে শতাধিক।'
নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, সামরিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে দীর্ঘদিন বর্ণবাদের চর্চার ফল ক্যাপিটল হিলের তাণ্ডব।
সাবেক এফবিআই এজেন্ট মাইকেল জার্মান বলেন, 'ঐদিন সামরিক বাহিনীর অনেক সাবেক কর্মকর্তাও অংশ নেয় তাণ্ডবে। সামরিক বাহিনী এবং আইন প্রয়োগকারী কিছু কর্মকর্তা শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী ও কট্টর ডানপন্থি গোষ্ঠির সঙ্গে জড়িত।
বাইডেনের পরিস্থিতিকে আব্রাহাম লিংকনের অবস্থার সঙ্গে তুলনা করেছেন অনেকে।
সংবাদ সংস্থা এপির রাজনৈতিক প্রতিবেদক আলেকজান্দ্রা জ্যাফি বলেন, 'এবারের শপথের থিম ঐক্যবদ্ধ আমেরিকা। যা প্রচারণার শুরু থেকেই বলে আসছেন বাইডেন।
কোভিডের কারণে জনগনকে ঘরে থাকার পরামর্শ, বাইডেন শিবিরের। শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর চায় ট্রাম্প প্রশাসন।
ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেন, 'মার্কিন জনগণ একটি শান্তিপূর্ণ অভিষেক দেখতে চায়। নতুন প্রেসিডেন্টের টীমের সদস্যদের প্রতি আহবান, নিরাপদেই শপথ অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করার।'
নতুন মার্কিন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন বলেন, ওবামা প্রশাসনের শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে নতুন আমেরিকা গড়তে চাই। জনগণ ও বিশেষজ্ঞদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে জনস্বার্থে কাজ করবে বাইডেন প্রশাসন।'
প্রতিনিধি পরিষদে ট্রাম্পের অভিশংসনে ১০ রিপাবলিকান আইন প্রণেতার ভোটের ঘটনায় বিভাজন বেড়েছে ট্রাম্পের দলে। বার্তা সংস্থা এপি বলছে, হাউস স্পিকার পেলোসি অভিশংসন আর্টিকেল দ্রুত সিনেটে পৌঁছাতে পারলে বাইডেনের শপথের দিন দুপুর ১ টায় শুরু হবে ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট ট্রায়াল।