ট্রাম্পকে ক্ষমতা থেকে সরাতে সংবিধানের ২৫তম সংশোধনী প্রয়োগে ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়ে প্রস্তাব পাস হয় মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে। তবে, হাউস স্পিকারকে দেয়া চিঠিতে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স সাফ জানিয়ে দেন, দায়িত্ব নিতে চান না তিনি।
এরপর মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে চলে দীর্ঘ বিতর্ক।
রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা অ্যান্ডি বিগস বলেন, 'ডেমোক্রেটরা আগাগোরা প্রেসিডেন্টকে নিয়ে মিথ্যে বলে আসছেন। এই নির্বাচন নিয়ে লাখো মানুষের মনে এখনও প্রশ্ন আছে।'
যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বলেন, 'প্রেসিডেন্ট তার কাজের মাধ্যমে নিজের মৌলিক ক্ষমতা ও কর্তব্য পালনে অক্ষমতা প্রদর্শন করেন। এজন্য তাকে অবশ্যই অপসারণ করা উচিত।'
মঙ্গলবার মধ্যরাতে পেন্সকে দায়িত্ব নিতে প্রস্তাব পাস প্রতিনিধি পরিষদে। সংবিধানের আলোচিত এ ধারাটি কার্যকরে, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও মন্ত্রীসভাকে ঘোষণা করতে হবে, ট্রাম্প তার দায়িত্ব পালনে অক্ষম। তবে, এতকিছুর পরও, একটুও দমেননি বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, 'আমার কোনো বক্তব্যে উসকানি ছিল না। ২৫তম সংশোধনী প্রয়োগ করে আমাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ডেমোক্রেটদের তোড়জোর মূল্যহীন। এই অভিশংসন চেষ্টা প্রতারণা এবং হাস্যকর।'
এদিকে, আগামী ২০ জানুয়ারির নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শপথ ঘিরে, নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হচ্ছে ওয়াশিংটন ডিসিকে। মোতায়েন থাকবেন, ন্যাশনাল গার্ডের ১০ হাজার সদস্য।
নিউইয়র্কে সিনেটর চাক শুমার বলেন, 'অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ওয়াশিংটন ডিসিকে নো-ফ্লাই জোন ঘোষনা করা উচিত। যারা ক্যাপিটল হিল হামলায় অংশ নিয়েছিল তাদেরও নো ফ্লাই লিস্টে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য এফবিআই, টিএসএ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়কে আহ্বান জানাচ্ছি।'
টুইটার-ফেসবুক-ইন্ট্রাগ্রামের পর, এবার নিষেধাজ্ঞা এলো ট্রাম্পের ইউটিউব চ্যানেলে। এতে আগামী ৭ দিন কোনো ভিডিও আপলোড করা যাবে না। এছাড়া, সহিংসতায় উসকানি দেয়ার বেশ কয়েকটি ভিডিও মুছে দিয়েছে গুগল।