ইরানের তেহরানের সালেহাবাদ গ্রামের একদল নারীর ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প এটি। বৈশ্বিক মহামারিতে কর্মহীন মানুষের দীর্ঘশ্বাসের ভিড়ে, আত্মনির্ভরশীল, একদল নারী।
কয়েকজন দাঁতের চিকিৎসকের উদ্যোগে গড়ে ওঠে, এই মাস্ক কারখানার মূল কারিগর ২০ জন নারীকর্মী। যাদের শ্রমে-ঘামে, রাজধানীর মাস্কের চাহিদা পূরণ হচ্ছে অনেকটাই।
গড়ে প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার মাস্ক তৈরি হয়, কারখানাটিতে। যাতে এক একজন কর্মীর দৈনিক আয় ১২০ ডলার। কারখানা একজন শ্রমিক বলেন, আমি গত আট মাস ধরে এখানে কাজ করছি। আমার পাঁচ বছরের একটি সন্তান আছে। আমার স্বামী আমাদের রেখে আরেকটি বিয়ে করে আফগানিস্তানে চলে গেছে। আমি আমার সন্তানকে নিয়ে এখন ভালোই চলছি। এমনকি আমি আমার স্বামীর দ্বিতীয় সংসারে অর্থ দিয়ে সাহায্য করছি।
উদ্যোক্তা জালাল আদেলি বলেন, যেকোনো দুর্যোগে সরকারকে যদি সাধারণ মানুষ সাহায্য করে, সেক্ষেত্রে অনেক দ্রুত ও ভালো ফল পাওয়া যায়। করোনা মহামারিও এর ব্যতিক্রম নয়।
বৈশ্বিক মহামারির প্রথমদিকে বিভিন্ন দেশ থেকে মাস্কসহ প্রয়েোজনীয় সরঞ্জাম কিনলেও, আর্থিক ও জ্বালানিখাতে নিষেধাজ্ঞার কারণে, বিল পরিশোধে জটিলতা পড়েছিল ইরান।