গত বছরের মতো এ বছরও বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল নগরীর খেতাব পেয়েছে রোমাঞ্চ ও শিল্প-সাহিত্যের তীর্থভূমি খ্যাত ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস। প্যারিসের সাথে সম্মিলিতভাবে তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করেছে সুইজারল্যান্ডের বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত জুরিখ এবং হংকং।
সিটি কস্ট অব লিভিং ইনডেক্স অনুসারে এ তিনটি শহরের স্কোর ১০৩। এক পয়েন্ট পিছিয়ে থেকে তালিকার দুই নাম্বার স্থানে রয়েছে সিঙ্গাপুর। জাপানের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী হিসেবে পরিচিত ওসাকার অবস্থান তিনে। ওসাকার সাথে যৌথভাবে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে পরিচিত তেল আবিব। অথচ আজকের থেকে পাঁচ বছর আগেও বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল নগরীর তালিকায় তেল আবিবের অবস্থান ছিলও ২৮ নাম্বারে। ওসাকা এবং তেল আবিবের পর সমান একশো পয়েন্ট নিয়ে যৌথভাবে চতুর্থ স্থান দখল করেছে পৃথিবীর রাজধানী হিসেবে পরিচিত নিউ ইয়র্ক এবং সুইজারল্যান্ডের অন্যতম প্রসিদ্ধ নগরী জেনেভা। হলিউডের পীঠস্থান হিসেবে পরিচিত লস অ্যাঞ্জেলেস এবং ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেন রয়েছে তালিকার পঞ্চম স্থানে।
ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে বলা হয় বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে বিশ্বের প্রায় সকল শহরের অর্থনীতির সূচক তুলনামূলকভাবে নিম্নমুখী অবস্থানে পতিত হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে মানুষের জীবনযাত্রায়। তবে আমেরিকাসহ আফ্রিকা ও পূর্ব ইউরোপের শহরগুলোতে জীবনযাত্রার ব্যয় গত বছরের তুলনায় কিছুটা কমে আসলেও একেবারে উল্টো পথে হেঁটেছে পশ্চিম ইউরোপের শহরগুলো। বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল নগরীর তালিকায় শীর্ষ দশের চারটি পশ্চিম ইউরোপের শহর যাদের মধ্যে প্যারিস এবং জুরিখ যৌথভাবে এ তালিকার এক নাম্বারে।
তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে ব্যয়বহুল নগরীর তকমা পেয়েছে ভারতের বন্দরনগরী খ্যাত মুম্বাই। মুম্বাইয়ের পর এ অঞ্চলের সবচেয়ে ব্যয়বহুল নগরীর তালিকায় স্থান পেয়েছে ঢাকা। গত বছর বিশ্বের ব্যয়বহুল নগরীর তালিকায় ঢাকার অবস্থান ছিলো ৬৬তে, ছয় ধাপ পিছিয়ে এবারের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ৭২।