সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশের প্রেসিডেন্টের করোনা!! এমন বিশ্বজুড়ে চলছে নানা আলোচনা।
অসুস্থতার খবর পাওয়ার পরপরই ট্রাম্পকে নেয়া হয় ওয়াশিংটন ডিসির ওয়ালটার রিড সামরিক হাসপাতালে। জ্বর এবং কাশি দেখা দেয়ায়, তাকে কয়েকদিনের জন্য থাকতে হবে সেখানে। ভিডিও বার্তায় নিজেই এ কথা জানান ট্রাম্প। তবে, ফাস্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প করোনায় আক্রান্ত হলেও, আপতত হোয়াইট হাউসেই থাকছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী, ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্টের অবর্তমানে বা অক্ষমতায় ভাইস প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের নীতি থাকলেও, এখনও তা করেননি ট্রাম্প।
নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটির ডিরেক্টর অব দ্য পাকলিক পলিসি টিম নাফতালি বলেন, নির্বাচনের ঠিক আগে ট্রাম্পের অসুস্থতা অনেক সমস্যা তৈরি করবে। এমন এক পরিস্থিতিতে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে ক্ষমতা হস্তান্তর করা উচিৎ ছিলো। ট্রাম্প তা না করলে, ক্যাবিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের ভোটে ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাহী শাসনভার নিতে পারে; যদিও তা প্রত্যাশিত নয়।
ভোটের আগে ট্রাম্পের করোনার আক্রান্তের খবর নিয়েও সন্দিহানের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। সন্দেহের যথেষ্ট কারণও রয়েছে। পুরো বিশ্ব যখন মহামারি আতঙ্কে, তখন একে চীনা রোগ বলে অবজ্ঞা করেন ট্রাম্প। অমান্য করেছেন স্বাস্থ্যবিধি। ফলে তার অসুস্থতার খবরে বাড়ছে অবিশ্বাস।
'তিনি সবসময় মাস্ক পড়ার বিরোধিতা করতেন, করোনার বিধি নিষেধকে ফেইক বলতেন। তার নিজের করোনার আক্রান্তের নিউজটা সত্যি তো!!'
নির্বাচনি লড়াইয়ের প্রতিদ্বন্দ্বি হলেও, অসুস্থ ট্রাম্পের আরোগ্য কামনা করেছেন ডোমেক্রেট প্রার্থী জো বাইডেন।
ডেমোক্রেট দলের মার্কিন প্রেসিডেন্ট পার্থী জো বাইডেন বলেন, একজন মানুষ হিসেবে তার সুস্থতা কমনা করছি। করোনা অনেক মারাত্মক। একে হালকা করে দেখার উপায় নেই।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, কানাডা প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ বিশ্ব প্রায় সব দেশের নেতারাই দ্রুত সুস্থতা কামনা করছেন ৭৪ বছর বয়সী এই মার্কিন প্রেসিডেন্টের।