আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ২৭ সেপ্টেম্বরের পর থেকে এ পর্যন্ত তাদের পাল্টা অভিযানে ২ হাজার ৩০০ আর্মেনীয় সেনা আহত এবং নিহত হয়েছে।
অভিযানে, ১৩০টি ট্যাংক এবং সাজোয়াযান, ২শ'র বেশি আর্টিলারি এবং মিসাইল সিস্টেম, আনুমানিক ২৫টি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, ৬টি কমান্ড এবং পর্যবেক্ষণ এলাকা, ৫টি গোলাবারুদ মজুদঘর, ৫০টি ট্যাংক বিধ্বংসী বন্দুক এবং ৫৫টি সামরিক গাড়ি ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে আজারবাইজানের সামরিক বাহিনী।
আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনী এবং তাদের সামরিক অস্ত্র ধ্বংসের পাশাপাশি ওই এলাকা থেকে দখলদারদের হটাতে পাল্টা হামলা অব্যাহত রয়েছে বলে জানায় আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনী আজারবাইজানের সামরিক স্থাপনা এবং নাগরিকদের বসতিতে হামলা চালায়। এতে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয় বাকুর। পরে পাল্টা হামলা চালায় আজারবাইজান।
১৯৮০ দশকের শেষের দিকে কারাবাখ অঞ্চলে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। ১৯৯১ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের মুহূর্তে সংঘর্ষ চূড়ান্ত আকার ধারণ করে। ১৯৯৪ সালে দু'পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার আগ পর্যন্ত এ সংঘর্ষে ৩০ হাজার মানুষ প্রাণ হারায়। কারাবাখ অঞ্চলটি আজারবাইজানের ভেতরে হলেও আর্মেনিয়া সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করছে জাতিগত আর্মেনীয়রা। ২০১৬ সালের পর এবারই প্রথম এই অঞ্চলে বড় ধরনের সংঘাতের জড়িয়ে পড়েছে আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজান।