পালিয়ে এসে তুরস্কে আশ্রয় নেয়া চীনের জিনজিয়াংয়ে বন্দিশিবিরের দুঃসহ অভিজ্ঞতার বর্ণনা দেন উইঘুর সম্প্রদায়ের গুলবাহার জালিলোভা। তিনি বলেন, 'আমি মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছি। ক্যাম্পের ভেতরে আমাদের অনেক নির্যাতন করা হয়েছে। প্রতিদিন চেয়ারে বসিয়ে শেকল দিয়ে হাত-পা বেঁধে রাখা হতো ঘণ্টার পর ঘণ্টা।'
তার মতো অনেকেই নিজেদের আত্মীয়-স্বজন ছেড়ে পলিয়ে চলে গেছেন তুরস্কে।
আরেক ভুক্তভোগী বলেন, 'আমার মা, পরিবার, আপনজন সবাই যেখানে আছেন, তাকে কেবল জাহান্নামের সাথেই তুলনা করা যায়। এটি কোনো জেলখানা নয়।'
ব্রিটিশ গণমাধ্যম স্কাই নিউজ জানায়, তাদের কাছে অনেকেই অভিযোগ করেছেন, চীনে বন্দিশিবিরে কথিত প্রশিক্ষণ দেয়ার কথা বলে, উইঘুরদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালাচ্ছে। যাতে নারীদের জোর করে ঘটানো হচ্ছে গর্ভপাত।
তারা বলেন, আমাদের দরজার ফাঁক দিয়ে হাত বের করতে বলে। পরে পুশ করা হয় ইনজেকশন। কিসের ইনজেকশন এবং কেন তা জিজ্ঞেস করার কোনো সুযোগ নেই।
নিজে পালাতে পারলেও চীনের বন্দিশিবিরে স্বজনদের জন্য মন কাঁদে অনেকের। তুরস্কের ইস্তাম্বুলেই এমন হতভাগ্যের সংখ্যা ৫০ হাজারের মতো।