বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় আদেশ ঘোষণার শুরুতে বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন, আন্তর্জাতিক বিচার আদালত-আইসিজের প্রেসিডেন্ট বিচারপতি আবদুলকোয়াই আহমেদ ইউসুফ।
মিয়ানমারের দাবি প্রত্যাখ্যান কোরে তিনি জানান, জেনোসাইড কনভেনশনের ৯ ধারা অনুযায়ী মামলা করে গাম্বিয়া। সনদের ধারা ও আইসিজের আইন অনুযায়ী, মামলা পরিচালনার এখতিয়ার রয়েছে, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের; এটি প্রমাণ করেছে দেশটি।
আইসিজে জানান, রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব ও ভোটদানের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার বিষয়টি আদালতের নজরে এসেছে। বলেন, নিপীড়নে জড়িত সেনাদের বিচার করতে হবে। পরে, মিয়ানমারে থাকা রোহিঙ্গাদের সুরক্ষায় সর্বসম্মতিক্রমে ৪টি অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন আদালত। ৪ মাসের মধ্যে আদেশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানাতে হবে মিয়ানমারকে।
৪টি অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ-
১. রোহিঙ্গাদের হত্যা, মানসিক-শারীরিক নিপীড়ন ও ইচ্ছাকৃত আঘাত করা যাবে না। জন্ম নিয়ন্ত্রণে বিধি-নিষেধ আরোপ করা যাবে না।
২. গণহত্যা, গণহত্যার প্রচেষ্টা বা ষড়যন্ত্র না করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ।
৩. গণহত্যার যেসব তথ্য-প্রমাণ রয়েছে তা ধ্বংস করা যাবে না।
৪. মিয়ানমার কী ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে তা অবশ্যই ৪ মাসের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে হবে। চূড়ান্ত সিদ্বান্তর আগ পর্যস্ত ৬ মাস পরপর প্রতিবেদন দিতে হবে।
আদালতের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও একজন অ্যাডহক বিচারপতি বর্তমান আদেশের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেছেন। রায় পড়ার সময় আদালতে ছিল, বাংলাদেশের ২০ সদস্যের প্রতিনিধি দল। এ সময় বিমর্ষ দেখা যায়, মিয়ানমার সরকারের প্রতিনিধি ও আইনজীবীদের।